সরকারি অনুদানের সিনেমায় হ্যাট্রিক করলেন গল্পকার এ এইচ এম এনামুল হক। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ উপন্যাসের চলচ্চিত্ররূপ দিয়ে শুরু।
২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে ‘হৃদিতা’ নামের চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদান পায়। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক জুটি ইস্পাহানি আরিফ জাহান। এনামুল হক রচিত ‘জলরঙ’ চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদান পায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে।চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন কবিরুল ইসলাম রানা।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে‘আর্জি’ নামের তৃতীয় চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে তার। এই ছবিটির মাধ্যমে হ্যাট্রিক রেকর্ড করলেন তিনি। নির্মিতব্য ‘আর্জি’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু।
এনামুল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা রহস্য উপন্যাস ‘ঘাট বাবু’র নাট্যরূপ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য একক নাটক ‘জুনিয়র আর্টিষ্ট’, ‘তৃতীয় স্ত্রীর ভাগ্যলেখা’, টেলিফিল্ম, ‘প্রেমের পান্ডুলিপি’ ধারাবাহিক নাটক ‘প্রফেশন’ দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল, যেগুলো পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মেহেদী হাসান সোমেন।
সিনেমা নাটকের পাশাপাশি গানও লিখে থাকেন এই চিত্রনাট্যকার। ড্রিমস শিরোনামের অডিও অ্যালবামের বেশ কটি গান লিখেছেন তিনি।কণ্ঠ দিয়েছেন প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী স্বপন চৌধুরী ও কানু। ‘ফিরে ফির চায়’ অ্যালবামের সবকটি গান তার লেখা। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ইস্তাকুল হক রিপন। সঙ্গীত পরিচালক কাজী শরিফ আহমেদের সুরে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সুবির নন্দীর গাওয়া ‘রঙের মেলা’ গানটিও তার লেখা। ‘যত আরাধনা’ শিরোনামে তপন চৌধুরীর গাওয়া গানে সুর দিয়েছেন তিনি।
লেখালেখির পাশাপাশি সুবচন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করতেন এনামুল। প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘সবুজ সাথী’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু। প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘জীবন ছবির আলো আঁধার’ এবং ‘আপনজন’ নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবিব রচিত ‘আলীবাবা চল্লিশ স্মাগলার’ মিনহাজুর রহমান পরিচালিত ‘শিকার’ রোকেয়া প্রাচী পরিচালিত ‘কবি ও কবিতা’ তে সুঅভিনয়ের স্বাক্ষর রেখেছেন।
প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক জিল্লুর রহমানের ‘ইমানদার মাস্তান’ ও ‘স্বপ্নের ভালোবাসা’, মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘প্রেম সংঘাত’, শাহিন সুমন পরিচালিত ‘খালাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। এনামুল হক প্রয়াত মোহাম্মদ সামছুল হক ও জাহানারা বেগমের তিন পুত্র ও চার কন্যা সন্তানের মধ্যে সবার বড়। ১৯৬৭ সালের ৪ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার অধীনস্থ বুড়িচং থানার অর্ন্তগত ঐতিহ্যবাহী শংকুচাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।