কালো টি-শার্ট, মুখে একগাল দাঁড়ি, উস্কোখুস্কো চুল। থমথমে মুখ। ভিতরটা ফেটে গেলেও নিজেকে শক্ত করে রেখেছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার পরিবারকে সামলাচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে যখন অভিনেত্রীর দেহ বের করে তাঁর বাড়ি ও টলিউডের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি সামনে আসেননি।
তবে কেওড়াতলায় গিয়ে নিজের হাতে নামালেন গাড়ি থেকে। এবারেও বান্ধবীর পাশ ছাড়েননি। আসলে শেষ মুহূর্ত অবধি পাশে থাকার অঙ্গীকার যে দেওয়াই ছিল।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে হাওড়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।
সব্যসাচী তার প্রিয়তমাকে শেষ বিদায় জানালেন খুব যত্ন নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে তিনি ঐন্দ্রিলার পা নিয়ে নিজের কপালে ঠেকাচ্ছেন। তাতে চুমু খাচ্ছেন। এরপর মাথার কাছে বসে খুব যত্ন নিয়ে চন্দন পরিয়ে দিচ্ছেন কপালে। যা দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি অনেকেই। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলাকে যে এভাবেও দেখতে হবে তা বোধহয় কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি।
২৪ বছরের মেয়েটা সত্য়িই ফাইটার! জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন। শেষ কয়েকটা দিন বারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তবে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আসা অ্যাটাকটা আর সামলানো গেল না। দুপুর ১২.৫৯ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।
তবে ঐন্দ্রিলারা এত সহজে হারিয়ে যান না, তা রোববার ফের প্রমাণ করেছে মানুষ। হাজার হাজার মানুষের চোখের জল ছিল তাঁর জন্য। অগুণতি ভক্ত এসেছিল প্রিয় মানুষটাকে একবার দেখতে। একবার ছুঁতে। পরিবারও সেভাবে বাঁধা দেয়নি কাউকে। মানুষ এসেছে, ফুল দিয়েছে, অকাতরে চোখের জল ফেলেছে। চিরশান্তির দেশে যাতে মেয়েটা খুব ভালো থাকে, মন থেকে সবাই সেটাই প্রার্থনা করে গিয়েছে।