যৌন হেনস্থার অভিযোগে নির্মাতা সাজিদ খানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইএফটিডিএ)।
এক বিবৃতিতে আইএফটিডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অভিনেত্রী র্যাচেল হোয়াইট, সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায়, অভিনেত্রী সিমরান সুরি ও অভিনেত্রী সালোনি চোপড়ার যৌন হেনস্তার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমরা একটি কমিটি গঠন করে কর্মক্ষেত্রে নারীদের হেনস্তার যে আইন তা অনুযায়ী তদন্ত করেছি। সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক গুরুতর যেমন: যৌন হেনস্তা, অতর্কিত যৌন হেনস্তামূলক আচরণ ইত্যাদি। সাজিদকে তার পক্ষে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তবে তিনি এ বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের কোনো চেষ্টা করেননি। তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তা, অনিচ্ছাকৃত শরীর স্পর্শ, নারীদের খোঁচা দিয়ে কথা বলা, নারীদের নগ্ন হতে অথবা বক্ষ বিভাজিকা প্রদর্শন করতে বলে তাদের মধ্যে মেনটালি ও ইমোশনালি ট্রমা তৈরি করার অভিযোগ নিয়ে তিনি কোনো সাড়া, ব্যাখ্যা বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেননি। সাজিদ যৌন হেনস্তার অভিযোগ স্বীকারও করেননি। তবে তিনি নারী ও পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
আইএফটিডিএ-এর পক্ষে তদন্তকারী অশোক পণ্ডিত বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, সাজিদ ও অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কাজ করবেন কি না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্মাতাদের ওপর নির্ভর করবে। এটি যতোটা আইনানুগ তার চেয়ে বেশি নৈতিক বিষয়। নির্মাতা ফারাহ খানের (সাজিদ খানের বোন) সঙ্গে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াড়ওয়ালার ভালো বন্ধুত্ব থাকা সত্বেও তিনি ‘হাউসফুল ফোর’ থেকে সাজিদ খানকে বাদ দিয়েছেন। এটি এখন ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের ওপর নির্ভর করছে-তারা বিষয়টি কীভাবে সামনে এগিয়ে নিবে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার আমরা করেছি।’
‘মিটু’ মুভমেন্টের মাধ্যমে কয়েক মাস আগে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। এরপর এই মুভমেন্টের মাধ্যমে একে একে মুখ খুলতে থাকেন হেনস্থার স্বীকার অভিনেত্রী, গায়িকা ও নির্মাতারা।
‘মিটু’ মুভমেন্টের মাধ্যমে সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী র্যাচেল হোয়াইট, সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায়, অভিনেত্রী সিমরান সুরি ও অভিনেত্রী সালোনি চোপড়া। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাজিদের বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে ঘটা আপত্তির ঘটনাগুলো তুলে ধরেন। এরপর ‘হাউসফুল ফোর’ সিনেমা থেকে সাজিদকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী নানা পাটেকরকেও বাদ দিয়ে দেওয়া হয় ছবিটি থেকে। তার পরিবর্তে নেওয়া হয় দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা রানা ডাগ্গুবাতিকে।