দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজমুদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য অনেক আগেই এই তারকা দম্পতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু এখনো তারা থেমে নেই। এখনও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনয়, নির্দেশনা, লেখালেখি, সম্পাদনা, সাংগঠনিক কাজ।
সম্প্রতি এই জুটি নতুন একটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করছেন। নাটকের নাম ‘লাভ লেটার্স’। শুধু বাচিক অভিনয় নিয়ে এই দুই প্রখ্যাত শিল্পী দর্শকভর্তি হল মাতিয়ে রাখেন অনায়াসে। আর এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তাদের কন্যা ত্রপা মজুমদার।
রামেন্দু মজমুদার ও ফেরদৌসী মজুমদার জুটি যেসময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সে সময় সমাজ এতোটা সাহসী ছিল না। দুই ধর্মের দু’জন মানুষের প্রেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমাজ ছিল দারুণ কঠোর। রামেন্দু মজুমদার সেই ঘটনাই সম্প্রতি বললেন।
তিনি বলেন, ‘যখন আমার শুনলেন আমি ফেরদৌসীকে বিয়ে করতে চাই, তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।’
শুধু কি তাই, ফেরদৌসীকেও কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি নিজের পরিবারের মানুষের অনুমতি পেতে। ফেরদৌসী মজুমদারের সঙ্গে রামেন্দু মজুমদারের পরিচয়টাও বেশ মজার।
রামেন্দু মজমুদার বলেন, ‘আমরা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সহপাঠী। তবে দু’জন আলাদা সাবজেক্টে পড়তাম। ফেরদৌসী বাংলায় আর আমি ইংরেজি সাহিত্যে। বাংলায় গ্রাজুয়েশন শেষ করে ও আবার আরবি সাহিত্য নিয়েও পড়াশুনা করেছে। তবে আমাদের পরিচয় নাটক করতে গিয়েই। তার ভাই মুনীর চৌধুরীর প্রথম নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’-এ আমরা দুজনই অভিনয় করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার শিক্ষক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুর একদিন আমাকে বললেন, মুনীর চৌধুরী একটি নতুন নাটক করবে, আমি তোমার নাম বলেছি, তুমি দেখা কর। আমি তো খুব খুশি। ওই নাটকের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়েই ফেরদৌসীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়। নাটক করতে করতেই একে অপরকে জানা-বোঝা ও পরিণয়। ১৯৭০-এ আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।’