চলছে দেশের ফ্যাশন অঙ্গনের অন্যতম ইভেন্ট ‘খাদি ফ্যাশন উইক’। রাজধানীর গুলশানের আলোকি সেন্টারে গতকাল শুরু হয়েছে এই আয়োজন। আজকে তার সমাপণী দিন। বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল আয়োজিত এই ইভেন্টে কাউন্সিলের সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনারদের পাশাপাশি তরুণ ডিজাইনাররাও তাদের ডিজাউন শোকেস করার সুযোগ পেয়েছেন ফ্যাশন শোতে।
প্রতিদিন ৮ জন করে ডিজাইনারের পোশাক নিয়ে আটটি ফ্যাশন কিউ দেখানো হচ্ছে। সবগুলো ফ্যাশন কিউ কোরিওগ্রাফি করছেন বিখ্যাত মডেল ও গ্রুমার আজরা মাহমুদ।
দেশের প্রথমসারির র্যাম্প মডেলদের পাশাপাশি প্রথম দিন চমক ছিল তরুণ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীর ফ্যাশন কিউতে। তার ডিজাইন তো বরাবরের মতো মুগ্ধতা ছড়িয়েছেই। সেই সঙ্গে তিনি শো স্টপার হিসেবে হাজির করেন লাক্স সুপারস্টার হয়ে তারকাখ্যাতি পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম।
‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এর মাধ্যমে বেশ লম্বা সময় পর র্যাম্পে উঠলেন এই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। তার পরনে ছিল একেবারেই নতুন ডিজাইনের খাদি শাড়ি। আচলে অসংখ্য ফুলেল মোটিফ দিয়েছেন ডিজাইনার আফসানা। মমর কানের দুলেও ছিল ফুলের মোটিফ। সব মিলিয়ে ফ্যাশন রানওয়েতে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন মম। মুখোশের আড়াল সরালে তাকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে উপস্থিত দর্শক।
এ বিষয়ে মম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই আয়োজনের অংশ হয়ে আমার আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে। কারণ এখানে দেশি ফ্যাশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দেশি ফ্যাশনকে নিজের মধ্যে ধারণ করি। দেশি ম্যাটারিয়ালের পোশাকই বেশি পরি। খাদি একেবারেই আমাদের দেশিয় ফ্যাব্রিক। ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীকে ধন্যবাদ, আমাকে তার শো স্টপার হিসেবে নির্বাচন করার জন্য। খুব সুন্দর সময় কেটেছে।’
আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ‘আমি বরাবরই সাসটেইনেবল ফ্যাশন নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। আর এবারের ‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এর থিমও তাই। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতের ফ্যাব্রিক কি হতে পারে সেটিই শোকেস করব আমরা। সেদিক বিবেচনা করেই আমি খুব ইজি এন্ড বিজি লুকের পোশাক ডিজাইন করেছি। শো দেখার পর অনেক গুণীজন আমারা ডিজাইনের দারুণ প্রশংসা করেছেন। আমি অনুপ্রানীত হয়েছি। আর অভিনেত্রী মমকে আমার সঙ্গে পেয়ে কাজটি আরও ঝলমলে হয়েছে।’