সারা বিশ্বেই নিজ দেশের কৃতি সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানীত করা হয়। বাংলাদেশে যেমন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বাধীনতা পদক, এরপর রয়েছে একুশে পদক। ভারতেও যেমন ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। তেমনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারের নাম নিশান-ই-ইমতিয়াজ। এরপর রয়েছে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ ও তামঘা-ই-ইমতিয়াজ।
অর্থাৎ পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হলো সিতারা-ই-ইমতিয়াজ। যার পূর্ণরূপ হলো স্টার অব এক্সিলেক্স। এই পুরস্কার শুধু পাকিস্তানিদেরই দেওয়া হয় না, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত তারকাদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এবার সেই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম। এই নায়িকার নাম শুনলেই ভেসে দর্শকের চোখে ভেসে ওঠে রাজ্জাকের সঙ্গে ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ গানের অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়েটির মুখ। যিনি কিনা আবার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা’ গানে নেচে দর্শকের মন জয় করেন ষাটের দশকেই।
বাংলাদেশে যেমন ‘হারানো সুর’ কিংবা ‘আম্মাজান’-এর মতো সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তেমনি পাকিস্তানের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক অনন্য নাম এই শবনম। বাংলাদেশের চেয়ে বরং পাকিস্তানেই এই অভিনেত্রীর উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছিল। তিনি সে দেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রবিষয়ক পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৩বার, যা আজ পর্যন্ত অন্য কোন শিল্পী পাননি। এছাড়া তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাকিস্তান টিভি (পিটিভি) পুরস্কার ও লাক্স স্টার অ্যাওয়ার্ডে আজীবন সম্মাননা পান পাকিস্তান থেকে।
এবার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার গ্রহণের জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিলেন শবনম। প্রথমে পাকিস্তানের ভিসা জটিলতা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি ভিসা পান এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন।