বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। বিশ্বের প্রাচীন চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম এই উৎসব। জমকালো এই আয়োজনকে ঘিরে কান হয়ে উঠে মুখর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র অনুরাগীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় শহরটি।
আগামী ১৪ মে ভূমধ্যসাগরের তীরে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে পর্দা উঠবে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের। আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মাঝেই শুরু হলো উৎসব কর্মীদের ধর্মঘট!
‘পর্দার আড়ালে দারিদ্র্য’ নামের ফরাসি শ্রম সংস্থার নেতৃত্বে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে চান না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দাবি সকলের সামনে তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। কর্মীরা কাজ থামিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ায় উৎসব বন্ধ না হলেও বিরূপ প্রভাব পড়বে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই কর্মীদের মাঝে আছেন ড্রাইভার, প্রোজেকশনিস্ট, ক্যাটারারসহ নানা পেশার ফ্রিল্যান্স কর্মী।
টিভি ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ফ্রিল্যান্স কর্মীদেরকে তাদের বেকারত্বের সময়ে বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়। এই সুবিধা কেবল তাদের জন্য যারা বছর জুড়ে নির্দিষ্ট ঘণ্টা কাজ করেছেন। কিন্তু উৎসবের ফ্রিল্যান্স কর্মীদের সুবিধা পেতে পোড়াতে হয় কাঠখড়, পূরণ করতে হয় শর্ত। তার ওপর ন্যূনতম মজুরিতে কাজ করায় এই কর্মীদের জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
ফ্রান্সের সরকার ইতোমধ্যেই ফ্রিল্যান্স কর্মীদের বেকার ভাতা কমিয়ে অর্ধেক করে দিয়েছে। ১ জুলাই থেকে সুবিধা আরও কমবে বলে শোনা গেছে। কর্মীরা ধারণা করছেন ভাতা পাওয়ার জন্য শর্তের কর্মঘণ্টার আরও বাড়ানো হবে। যদি এটা করা হয়, তাহলে উৎসবের ৮০ শতাংশ কর্মী চাকরী পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন। তাই সাংস্কৃতিক জগতের অন্যান্যদের মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার দাবি করছে ফ্রিল্যান্স উৎসব কর্মীরা।
উৎসব কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
তথ্যসূত্র : ভ্যারাইটি