বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে নাটকীয়কার কোন শেষ নেই যেন! এখন চলছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে ডিপজল আর নিপুণের মধ্যে আইনি লড়াই। নির্বাচনের প্রায় এক মাস পর কারচুপির অভিযোগ এনে আদালনের দারস্থ হন নিপুণ। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে ডিপজলকে আপাতত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। খতিয়ে দেখা হবে এই নির্বাচনে আদৌ কোন কারচুপি হয়েছে কিনা।
এমন পরিস্থিতিতে চেম্বার আদালদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন খলনায়ক ডিপজল। নিজের হারানো পদ ফিরে পেতে তার এই তোড়জোড়।
এই যখন অবস্থা তখন (গত শুক্রবার) নিজের ফেসবুক পেজে শিল্পী সমিতিকে নিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি লেখেন, ‘শিল্পী সমিতি শিল্পীদের জন্য কী কাজে লাগে তা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না। যা জানি তা আর বললাম না। পাবলিকের এখন সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার দরকার নাই। মানুষের এত ধৈর্য!’
একদিন পরই এবার সংগঠনটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দিলেন ওমর সানী। এর আগেও অবশ্য সানী এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্রের এক সময়ের পর্দা কাপানো এই নায়ক আর শিল্পী সমিতির সদস্যই থাকতে চান না! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শিগগিরই সমিতির সভাপতির কাছে চিঠি পাঠাবেন বলেও জানান এই অভিনেতা।
গত ২৫ মে এক ফেসবুক পোস্টে সানী লেখেন, ‘আমি আর শিল্পী সমিতিতে সদস্য হিসেবে থাকতে চাচ্ছি না, আমি কয়েকদিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে চিঠি পাঠাব। আমার সমস্ত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।’
তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওমর সানী।