সম্পতি ঢালিউডের দুই নায়িকার রেষারেষির খবর বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তমা মির্জাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করার অভিযোগে মিষ্টি জান্নাতকে ১০ কোটি টাকার মানহানির আইনি নোটিশ পাঠান তমা।
নোটিশ পেয়ে মিষ্টি বলেছিলেন, আমি কোথাও তমা মির্জার নাম উল্লেখ করে কিছু বলিনি। আমার কথাগুলোকে তমা মির্জার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কনটেন্ট তৈরী করে কিছু ইউটিউব চ্যানেল। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি। আর তমা মির্জা আমাকে আইনি নোটিশ পাঠানোয় আমার যে মানহানি হয়েছে তার জন্য তাকে ২০ কোটি টাকার নোটিশ পাঠিয়েছি।
অবশেষে এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। গতকাল এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুই নায়িকাকে মিলিয়ে দেয় শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমাদের দুটি বোনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। এর ফলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে যে কথাগুলো বলেছে তা যে ঠিক হয়নি সে কথা তারা শিকার করেছে। এরপর তারা আমাদের স্মরণাপন্ন হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং আমাদের সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরোধ মেটানোর ব্যবস্থা করেছি। তারাও সব ভুলে গিয়ে মিটমাট করতে আজ এগিয়ে এসেছে। সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আপনারা এই বিষয়ে তাদেরকে আর কোন প্রশ্ন করবেন না।’
তমা মির্জা বলেন, ‘দিনশেষে তো আমরা শিল্পী। শিল্পীদের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে তা নিয়ে কথা বলার, ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার কিংবা ক্ষমা করে দেওয়ার জায়গাটাই হলো শিল্পী সমিতি। আমার আর মিষ্টির সঙ্গে যা হয়েছে তা কোন শিল্পীর জন্যই কাম্য না। মিষ্টি ক্যারিয়ারের দিক থেকে আমার ছোট বোনের মতো, ও বলেছে আপু যা হয়েছে আমরা ভুলে যাই। আমার বড় ভাইত’ল্য মিশা ভাই, ডিপজল ভাইও বলেছেন যা হয়েছে ভুলে যাও। আমি মেনে নিয়েছি।’
মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ আমার অভিভাবক। ফলে তারা সিনিয়র হিসেবে আমাদের কোন কথা বললে সেটি আমরা জুনিয়র হিসেবে মেন নেব এটাই স্বাভাবিক। আর তমা আপু আমার খুবই কাছের। আসলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। যাই হোক, পরবর্তীতে আমরা কেউই চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। আর ইউটিউবারদের বলব, আপনারা এমন কোন ক্যাপশন দেবেন না যাতে একজনকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়। এই কারণেই আজ এতো বড় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আজকে আমার আর তমা আপুর দ্বন্দ্ব লেগেছে, কাল আরেকজনের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটবে।’
শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব লিখিত সমঝোতা সম্পর্কে বলেন, আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু বিষয় ভিন্ন অভিমতের কারণে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্যের নিরসনকল্পে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্মরণাপন্ন হলে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উদ্যোগে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। পরে এ বিষয়ে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব।