ঢালিউডে যে ক’জন তারকা কারণে অকারণে আলোচনায় থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম পরীমণি, শবনম বুবলী আর শরিফুল রাজ। এই তিন তারকার সমন্বিত ইস্যু নিয়েও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ছিল।
পরীমণি আর বুবলীর মধ্যে তেমন কোন বাগ বিতণ্ডার কথা ইতোপূর্বে শোনা যায়নি। তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু হুট করে একদিন বুবলীকে নাম উল্লেখ না করেই খোঁচা মেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরী। তার ভাষ্য ছিল, পরীর ছেলে রাজ্যর জন্মদিনের ভিডিও বুবলী তার ছেলে বীরের জন্মদিনের ভিডিওতে হুবহু নকল করেছেন।
বুবলীও পরে সেই স্ট্যাটাসের জবাব দিয়েছিলেন। থেমে ছিলেন না পরীও। তিনিও বুবলীকে উদ্দেশ্য করে আবারও স্ট্যাটাস দেন। ভিডিও নকল করা নিয়ে যে এই জনপ্রিয় দুই নায়িকা ঝগড়া করছেন সে কথা তখন অনেকেই মানতে পারেননি।
অবশেষে জানা গেল সেই ঘটনার পেছনের রহস্য। এই বিবাদের পেছনেও দায়ী শরিফুল রাজ! পরী তার সাবেক স্বামীর বর্তমান প্রেয়সিকে সহ্য করতে না পেরেই এমনটা করেছিলেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।
কেননা, কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শরিফুল রাজ আর শবনম বুবলীর গোপনে বিয়ে করার খবর ছড়িয়েছে। মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমে সেভাবে খবরটি প্রচার না পেলেও সামাজিক মাধ্যমে তা ভালোভাবেই ছড়ায়।
কিন্তু দুদিনের মাথায় সেই গুঞ্জন মিইয়ে যায়। সেই খবরের জায়গা দখল করে নেয় পরী আর রাজের রিইউনিয়নের খবর! পরীর বাসা থেকে ঝগড়া করে বেরিয়ে আসার দীর্ঘদিন পর রাজ সেখানে ফিরে গিয়েছিলেন। ছিলেন কয়েক ঘণ্টা, একসঙ্গে তারা খাওয়া দাওয়াও করেছেন। এসব কথা পরে পরী নিজেই গণমাধ্যমে বলেছেন। শুধু তাই নয়, রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপন করার পরামর্শও দেন পরী। নয়তো নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের জীবনে, সে কথাও বলেছেন।
এই ঘটনার চার দিনের মাথায় পরীমনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যাকে আমার বাসার দারোয়ানই গেটে অ্যালাও করবে না, সে স্বপ্নে আমার রান্না খায়!’
ফেসবুক পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা মনে করছেন, শরিফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন। মন্তব্যের ঘরে খল অভিনেতা শিমুল খান লিখেছেন, ‘কে খাইলো তোমার রান্না? (স্বপ্নে)।
উত্তরে পরীমনি লিখেছেন, ‘আছে এক টোকাই। তার বিয়ার নিউজের চাপ ঢাকল, আমাকে আর আমার ছেলেকে দিয়ে। কত বড় নিমকহারাম!’
পরীর এমন উত্তরেই সবাই দুইয়ে-দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন, কেন পরী-বুবলীর দ্বন্দ্ব শুরু হলো, কেনই বা রাজ হুট করে পরীর বাসায় গেলেন আর পরীই বা কাদের বিয়ের খবর ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলছেন। আসল সত্য কী তা সময়ই বলে দেবে।