গতকালই গণমাধ্যমে খবর এসেছে প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল তার ‘বিট্রে’ ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে। যে ছবির প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ করেছেন বুবলী ও রোশান, সেখান থেকে তাদের বাদ নিয়ে নতুন জুটি নিয়ে কাজ করার এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে প্রযোজকের জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত। এই খবর সত্যি হলে এই তারকাদের জন্যও তা ভীষণ অপমানজনক।
বুবলীর ওপর যে ইকবাল খুব বিরক্ত সে কথা দুদিন আগেই তার আরেক মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রিভেঞ্জ খুবই ভালো গল্পের সুনির্মিত সিনেমা। তারপরও ছবিটি দর্শকের কাছে ঠিকমতো পৌঁছতে পারেনি নায়ক-নায়িকার দায়িত্বহীনতার কারণে। বুবলী শাকিব খানকে এতোটাই ভালোবাসে যে, তার সিনেমা (তুফান) যাতে একচেটিয়া ব্যবসা করতে পারে এজন্য নিজের সিনেমার (রিভেঞ্জ) কোন প্রচারণাতেই তিনি আসেননি!
এখন সিনেমা হলে ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমার অবস্থা বেশ শোচনীয়। তাই এর প্রযোজক ও পরিচালক ইকবাল তার পরবর্তী ছবি ‘বিট্রে’ থেকে বুবরীকে বাদ দিয়েছেন।
শাকিব খানের জন্য শুধু ‘বিট্রে’ নয়, বুবলী প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই নায়িকার দাবী, ‘আমি শেহজাদকে সামনে আনার পর থেকেই অনেক কিছুই হচ্ছে। আমাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমি যেখানে যে সেক্টরেই কাজ করছি, সেখারে আমার সহশিল্পী নিয়ে হোক, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হোক কিংবা টিভিসির ক্ষেত্রে হোক, প্রতিটি জায়গায় আমাকে নিয়ে নোংরাভাবে মিথ্যা নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। যাতে আমি কাজ না করতে পারি। এই কাজগুলো কেন করা হচ্ছে? কিংবা কারা করছেন? সেকথা তো আলাদা করে বলার দরকার নেই। এগুলো পরিকল্পনা করেই করা হচ্ছে আসলে।’
বুবলী কথাগুলো সরাসরি না বললেও সাক্ষাৎকারের আগে ও পরের বিষয়ে তিনি যে আলাপ করেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই কাজের সঙ্গেও শাকিব খানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কারণ এই নায়ককে ঘিরেই সারা বছর বুবলীর সঙ্গে আরেক জনিপ্রয় নায়িকার দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে।
শুধু কাজের ক্ষেত্র নয়, বুবলীর ব্যক্তিজীবন নিয়েও নানা মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। বর্তমানে শোবিজে চাউর আছে, বুবলীকে শাকিব খান বা তার পুরো পরিবার একদমই পছন্দ করেন না। বরং অপু বিশ্বাস এখন তাদের বেশ কাছের। এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ ধরনের কথা শুনলে মনে হয় যেন গ্রামের কোন একটি পরিবেশ। শাকিব খান বা তার বাবা মা তো এমন নন। এ ধরনের কথা ছড়ানো মানে তাদেরই অসম্মান করা। আসল কথা হলো, তাদের সবার সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। নানা বিষয়ে আমাদের কথা হয়, দেখা হয়। শাকিব নিজেও তার ছেলেকে দেখতে বাসায় আসে, আমারও যাওয়া হয়। এটা তো খুবই স্বাভাবিক তাই না? কারণ এটা তো একটা সম্পর্ক। আমরা একই সন্তানের বাবা-মা। আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হবে এটাই তো স্বাভাবিক।