‘তুফান’ দেখার পর নিজ থেকে সহশিল্পী মাসুমা রহমান নাবিলাকে ফোন করেছেন সুপারস্টার শাকিব খান। এতো বড় একজন তারকার এই ব্যবহারে বিস্মিত হয়েছেন নাবিলা। সে কথা তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন।
নাবিলার ভাষ্য, ‘‘তুফান’ দেখার পর আমারই উনাকে (শাকিব খান) ফোন করা উচিত ছিল। কিন্তু ঈদের সময় পরিবার, ছোট্ট বাচ্চা, আত্মীয়-স্বজনসহ নানা ব্যস্ততায় আর ফোন করতে পারিনি। কিন্তু কলটা উনিই দিয়েছেন আমাকে। কারণ তিনি ‘তুফান’-এর সফলতায় খুব খুশি। শুধু তাই নয়, আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এতো বড় একজন অভিনেতার কাছ থেকে এমন ব্যবহার পেয়ে ও প্রশংসা শুনে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি তার দ্বারা অনুপ্রাণীত হয়েছি যে কিভাবে সহশিল্পীর সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়।’
নাবিলা শেয়ার করেছেন শাকিব খানের সঙ্গে শুটিংয়ের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাও। তিনি বলেন, ‘‘শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ‘তুফান’-এর শুটিং স্পটেই! প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছিল, লোকটা ভীষণ সুন্দর! সেদিন ‘তুফান’-এর লুকটাই ছিল উনার। তাছাড়া হি ইজ এ সুপারস্টার, সেটার একটা আলাদা আমেজ আছে তার উপস্থিতিতে। সবমিলিয়ে প্রথম দিন কাজ করতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে একটু নার্ভাস লাগছিলো। তবে আমার নার্ভাসনেস সহজে মানুষ বুঝতে পারে না, কারণ আমি নিজেকে কনফিডেন্স দেখানোর খুব ভালো অভিনয় করতে পারি!’’
সিনেমার যে শেষ দৃশ্য ওটাই প্রথম দিনে শুটিং করেছিলেন শাকিব খান ও নাবিলা। শাকিব খান কতোটা সহযোগীতাপরায়ন জানতে চাইলে নাবিলা বলেন, ‘প্রথম দিন তাকে দেখেছি একদম চুপচাপ। খুব একটা আগ বাড়িয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেন না। শট ভালো হলে দূর থেকে একটা হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে ভালো হয়েছে। উনি তো এতোটাই অভিজ্ঞ যে, একটা গাছকেও তার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলে তিনি সুন্দরভাবে অভিনয় করে বের হয়ে যাবেন। কিন্তু আমার এভাবে কাজ করতে অসুবিধা হয়। সহশিল্পীর সঙ্গে এক ধরনের সহজ সরল বোঝাপড়া না হলে আমার অভিনয় করতে কষ্ট হয়। ফলে নিজের স্বার্থেই আমি শাকিব খানের সঙ্গে শুরুতে নিজে গিয়ে কথা বলেছি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি, ‘আপনি কি অনেক চুপচাপ মানুষ?’ তিনি তখন বলেছেন, ‘না, কে কিভাবে নেয় সেজন্য আগ বাড়িয়ে গল্প করতে যাই না।’ একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা সহজ হয়ে যায়। এরপর থেকে আমরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে গল্প আড্ডায় মেতে উঠতাম।’
নাবিলা আরও বলেন, ‘কয়েকটা শটের পরেই আমরা বেশ সহজ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ তিনি আমাকে খুব সহযোগীতা করছিলেন। আর আমার বিপরীত দিকের শিল্পী যদি খুব ভালো অভিনয় করেন তাহলে কিন্তু অটোম্যাটিক্যালি আমার অভিনয়টাও ভালো হয়।’
রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমাটি টানা ১২ দিন ধরে সমান দর্শকচাহিদা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে চলছে। এরইমধ্যে খবর এসেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। এছাড়া ছবিটি দেখা যাবে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানিসহ বেশকিছু দেশে। ছবিটিতে শাকিব-নাবিলা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, চঞ্চল চৌধুরী, মিশা সওদাগর, গাজী রাকায়েত, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।