নব্বইয়ের দশকে ব্যান্ড সংগীত তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। এই শিল্পী কয়েক দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জুয়েলের স্ত্রী সংবাদ পাঠিকা সংগীতা আহমেদ।
১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবাও চলছিল। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।
সংগীতা আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তের সংক্রমণের মাত্রা কমলে এবং রক্তের প্লাটিলেট মাত্রা বাড়ার হার অব্যাহত থাকলে হয়তো চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দেবেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতির এভাবে চলতে থাকলে, স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবে। তবে এর সঙ্গে ক্যানসারের উন্নতির কোনো সম্পর্ক নেই।’
জানা গেছে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমেই সংক্রমিত হয়।
মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।
১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।
জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি।