কয়েক বছর ধরেই হলিউডে সংগীত ব্যক্তিত্বদের জীবন পর্দায় নিয়ে আসার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। কারণ এ ধরনের সিংহভাগ ছবিই দর্শকের মন জয় করেছে। এরমধ্যে ইউনিভার্সাল পিকচার্স-এর প্রযোজিত ছবি রয়েছে একাধিক। ২০১৫ সালে এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয় হিপহপ ব্যান্ড এন ডব্লিউ একে নিয়ে সিনেমা ‘স্ট্রেইট কোটা কম্পটন’, যা বক্স অফিসে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করে। ২০০২ সালে একই প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা ‘৮ মাইল’ও বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছিল। সিনেমাটি ছিল গায়ক এমিনেমকে নিয়ে। এই সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে অভিষেক হয় এমিনেমের।
এবার ইউনিভার্সাল পিকচার্স-এর হাত ধরেই রূপালী পর্দায় আসতে চলেছে ‘পপ প্রিন্সেস’খ্যাত ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বায়োপিক। মার্কিন চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ব্রিটনির বায়োপিকটিও নির্মাণ করবেন ‘এমিনেম’ সিনেমার পরিচালক জন এম চু।
অল্প বয়সে পাওয়া তারকাখ্যাতি, সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা, বাবার সঙ্গে অভিভাবকত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই- সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল জীবন ব্রিটনি স্পিয়ার্সের। তাইতো গত বছর তার জীবনীমূলক বই ‘দ্য ওম্যান ইন মি’ প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো ঝড় তোলে। গত বছরের ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয় ব্রিটনির জীবন নিয়ে লেখা বইটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২৫ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। বহুল চর্চিত এই বইয়ের স্বত্ব কিনে নিয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ইউনিভার্সাল পিকচার্স।
নিজের বায়োপিকের কথা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ জানিয়েছেন এই গায়িকা নিজেই। ব্রিটনি লিখেছেন, ‘গোপন এই প্রজেক্টের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত বোধ করছি। সঙ্গে থাকুন।’
‘দ্য ওম্যান ইন মি’ বইয়ে ব্রিটনির তারকা হয়ে ওঠার গল্প যেমন উঠে এসেছে, তেমনি জায়গা পেয়েছে বাবার অভিভাবকত্বে থাকার সময়ে তার মানসিক অবস্থার বয়ানও। সৎভাবে সম্পর্ক, নিজের আত্ম–উপলব্ধি তুলে ধরার জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন গায়িকা। জানা গেছে, সিনেমাটিতেও থাকবে এসব প্রসঙ্গ।
ব্রিটনির বায়োপিক কবে পর্দায় দেখা যাবে, গায়িকার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন- সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।
বই প্রকাশের আগে এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটনি বলেছিলেন, ‘আমি বইয়ে মন খুলে সব বলেছি। আমার ভক্ত ও পাঠকদের ধন্যবাদ এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।’
১৯৯৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্রিটনির প্রথম অ্যালবাম ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ মুক্তি পায়। রাতারাতি তিনি হয়ে ওঠেন সারা দুনিয়ার তরুণদের পপ-আইকন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্রিটনির ৯টি স্টুডিও অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। সর্বশেষটির নাম ‘গ্লোরি’, মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। বিশ্বজুড়ে তার রেকর্ড বিক্রি হয়েছে ১৫০ মিলিয়নের বেশি।
অনেক দিন ধরেই গানে নেই ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ২০২১ সালে ১৩ বছরের অভিভাবকত্বের ‘বন্দিদশা’ থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। মার্কিন এই পপ তারকার ওপর থেকে তার বাবা জেমস স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব তুলে নেন আদালত।