তরুণ প্রজন্মের প্রতি অগাধ আস্থা প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। তাইতো কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে তিনি ছিলেন দারুণ সক্রিয়।
অসুস্থতার জন্য স্বশরিরে রাস্তায় না নামতে পারলেও এই নির্মাতা প্রতিনিয়ত তার ফেসবুকে পোস্টে ছাত্রদের উৎসাহ দিয়েছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
তবে তিনি যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথাও ভাবছেন সেটা আরও বোঝা গেলো তার আজকের পোস্টে। কেননা তিনি পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে দারুণ এক সংবেদশীল পোস্ট করেছেন।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জন সাধারন পুলিশ বাহিনীকে এক কথায় সরকারের দোসর মনে করছে। তাইতো পুলিশের প্রতি তাদের বিশ্বাস এখন জিরোর কোঠায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের প্রসঙ্গে কেউ কেউ নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এরইমধ্যে দেশের অসংখ্য থানা, পুলিশ ফাড়ি, ব্যারাক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রতি হয়েছে অতর্কিত হামলা। আহত-নিহত হয়েছে অনেক পুলিশ। এমন সময় ছাত্রদের পাশে থাকা ফারুকীর এই স্ট্যাটাস তার অনুসারীদের মনে পুলিশ নিয়ে ধারণা বদলাতেও পারে। কারণ তিনি যে কথাগুলো তুলে ধরেছেন সেটাই প্রকৃত সত্য। অথচ এই বিষয়টি অনেক জনগন ভেবেই দেখছে না। তারা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে উঠছে পুলিশের প্রতি।
ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আশা করি আজকে-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের। আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট? কালকে আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার-পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য! তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- তারা আর কোনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়! ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’
ফারুকীর এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে বেশিরভাগ মানুষই নির্মাতার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে ভিন্ন মতও রয়েছে অল্প বিস্তর।