শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তরুণদের উপর আস্থা রেখে নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশবাসী। শোবিজ তারকারাও তার বাইরে নন। কিছু তারকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কেউ আবার অবস্থা বেগতিক দেখে সরকারের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে ছাত্রদের সঙ্গে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন। তাদেরই একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ।
আজ যমুনা টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে সিয়াম কথা বলেছেন চলমান বাংলাদেশ নিয়ে। সেখানে তিনি এমন একটি ইস্যু তুলে ধরেন যা নিয়ে কথা বলা খুব জরুরি। সিয়াম বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সংস্কারের জন্য আন্দোলনের পক্ষে থেকেছি। আমরা বাক স্বাধীনতা চাই। তাই আজ এই কথাগুলো বলতে পারছি।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘আমরা যারা আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি তাদের হয়তো সবাই বাহবা দিচ্ছেন। কিন্তু আমার এমন কিছু সহশিল্পী আছেন যারা হয়ত সরাসরি কোন পক্ষে ছিলেন না বা কেউ কেউ সরকারি পক্ষেও ছিলেন। এখন তাদের নিয়ে যদি আপনারা বিরূপ মন্তব্য করেন কিংবা তাদের হেয় করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনাদের সঙ্গে পূর্বের অবস্থার কি পার্থক্য থাকলো?’
কেন সকল শিল্পীরা ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে পারেননি সে বিষয়টিও খোলাশা করেছেন সিয়াম। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্পীরা মানুষের জন্যই কাজ করি। তাদের ভালো মন্দে পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। কিন্তু এটা কেউ ভেবে দেখে না যে, একজন সাধারন মানুষের প্রতিবন্ধকতা আর একজন তারকা প্রতিবন্ধকতা এক নয়। আমরা শিল্পীরা একটা কিছু (সংবেদনশীল) পোস্ট করলেই ৫-৬টা কল চলে আসে। এমন সব মানুষের কল যা একজন সাধারন মানুষের কাছে গেলে আত্মা কেঁপে উঠবে। তারা আমাদের সম্মানের সঙ্গেই জিজ্ঞাসা করেন কেন এই পোস্টটি দেওয়া হলো? কারণ আমাদের প্রতিটি পোস্ট সমাজে কিছু না কিছু ইমপ্যাক্ট ফেলে। এজন্যই আমরা চাইলেই সব কথা এতোদিন মন খুলে বলতে পারিনি। কিন্তু এখন থেকে যেনো সেই অধিকার পাই সেই প্রত্যাশাই করি। এজন্যই দেশ সংস্কারের এই আন্দোলনে সঙ্গে ছিলাম।’