শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের সংস্কার কাজ চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব বুঝে নিলেও এখনো সামলে উঠতে পারেননি। মাঝে যে সময়টুকু গেছে তার অসৎ ব্যবহার করেছে সুযোগসন্ধানী একটি মহল।
শেখ হাসিনা গণভবন ছাড়ার পরই তার এই বাসভবন লুটপাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সহিংসতা। এরপর জাতির পিতার স্মৃতি সম্বলিত ধানমণ্ডি ৩২-এর বাড়ি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা তার ভাস্কর্যগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জাতির পিতা হওয়া স্বত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে অপমানের ঘটনাকে একটি পক্ষ দলীয়করণ করছে। তারা বলতে চেষ্টা করছে, কন্যার ওপর ক্ষোভ থেকে এগুলো করছে সাধারন জনগণ। এসবের জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী!
কিন্তু সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দ কিংবা খুলনা বেতারের আরেকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিল্পীর বাড়ি ভাঙচুর এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে আগুন ও মন্দির-প্যাগোডা ভাঙচুর, লুটপাত, খুন, নির্যাতনের ঘটনা কোন ক্ষোভের ফসল?
এই প্রশ্ন এখন শুধু দেশের সচেতন ও অসাম্প্রদায়িক মানুষেরই নয়, তা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। ফলে বিষয়টি চোখে পড়েছে বলিউডের প্রখ্যাত তারকা প্রীতি জিনতারও।
এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ সোচ্চার হয়েছেন প্রীতি। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা দেখে আমি বিধ্বস্ত ও ভেঙে পড়েছি। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ ঘর হারাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাস্থলে ভাঙচুর করা হচ্ছে। আশা করছি, নতুন সরকার এই ধরনের হিংসা বন্ধ করতে যথার্থ পদক্ষেপ করবে। বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।’
প্রীতি ছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন ইমরান হাশমি, সোনু সুদ, রাভিনা ট্যান্ডনের মতো নামকরা বলিউড তারকারা।
এদিকে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও চলছে জোরালো প্রতিবাদ।