বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শোবিজের চাকা বন্ধই বলা যায়। এরমধ্যে দু চারটি নাটকের শুটিং আর গানের রেকর্ডিং-এর কাজ হয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য দু-চারটি ছোট্ট পরিসরের কনসার্ট হয়েছে। এর বাইরে সমগ্র শিল্পীগোষ্ঠী ঘরেই অবসর কাটাচ্ছেন।
ফলে কাজের বাইরে ব্যক্তিজীবন নিয়েই আলোচনায় রয়েছেন গুটি কয়েক তারকা। তারমধ্যে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি একজন।
আওয়ামী রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়েও মাহি বেশ আগেভাগেই ছাত্রদের আন্দোলনে নিজের সমর্থন জানিয়ে আলোচনায় আসেন। বন্যা পরিস্থিতিতেও মানবিক মনের পরিচয় দিয়ে প্রশংসা কুড়ান মাহি।
এরপর তাকে ঘিরে আলোচনা হয় বিমানমন্দরে টানা দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। গত ২৪ আগস্ট এক দিনের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। এ প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বান্ধবীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে দেড় ঘণ্টা কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সেটা নিয়ে মোটেও বিরক্ত হননি; বরং উপভোগ করেছি। এখন দেশ একটা বিশেষ সময় পার করছে। এই সময়ে অনেকের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। আমি সেই তালিকার কেউ কি না সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কর্তৃপক্ষ। যখন তারা নিশ্চিত হলো, আমি কালো তালিকাভুক্ত নই, তখন কেন বিদেশে যাচ্ছি সেটা জানার চেষ্টা করে। আমি তাদের জানালাম, চিকিৎসার জন্য। শেষ পর্যন্ত আমাকে তারা অনুমতি দেন।’
মাহি আরো বলেন, ‘ভারতেই যেতাম চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এই মুহূর্তে ভিসা পেতে দেরি হবে ভেবে অন্য একটি দেশে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করবেন না! এক দিনের নোটিশেই চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছি। প্রথমবার দেশটিতে গিয়ে খুব ভালো লাগল। বান্ধবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আবার যাব, থাকব বেশ কয়েক দিন।’
বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য প্রথম থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন মাহি। এরই মধ্যে তার পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণ তহবিলে নগদ টাকাও দিয়েছেন তিনি। মাহি বলেন, ‘সব সময় মেনে এসেছি, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে থেকেছি। অনেক বন্ধুকেও সহযোগিতা করতে বলেছি। ফারিশ (সন্তান) ছোট না থাকলে হয়তো নিজেই হাজির হতাম বন্যাদুর্গত এলাকায়।’