মালয়ালম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হয়রানি নিয়ে জাস্টিস হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতে। ইন্ডাস্ট্রির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে রয়েছে নারী নির্যাতন ও যৌন হেনস্তার ঘটনা, যাতে জড়িত ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালীরা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
অভিনেতা সিদ্দিকি, পরিচালক রঞ্জিত বালকৃষ্ণনসহ একাধিক খ্যাতিমান তারকার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
চাপের মুখে গত মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়ালম মুভি আর্টিস্টসের (এএমএমএ) সভাপতির পদ ত্যাগ করেছিলেন প্রখ্যাত মালায়লম অভিনেতা মোহনলাল। তারপরও সমালোচনা থামেনি। অবশেষে মুখ খুললেন ‘দৃশ্যম’ অভিনেতা।
গতকাল শনিবার মোহনলাল বলেন, ‘যদি কোনো অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রমাণ থাকে, তবে অবশ্যই তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।’
জাস্টিস হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর কেরালা সরকারের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন মোহনলাল, যা অভিনয়শিল্পের জগতে একাধিক যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের বিবরণ সামনে এনেছে। তিনি বলেন, ‘হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা সরকারের একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’
মোহনলাল জানান, তিনি মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘কোনো শক্তিগোষ্ঠীর’ অংশ নন বা এ–জাতীয় কোনো গোষ্ঠীর অস্তিত্ব সম্পর্কেও তার জানা নেই।
সর্বশেষ অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী সোনিয়া মালহার। তার অভিযোগ, যে এক অভিনেতা তাকে ২০১৩ সালে একটি ছবির সেটে শ্লীলতাহানি করেছিলেন। ‘মি টু’ ঝড় মোকাবেলা করার জন্য কেরালা সরকার দ্বারা গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী। তবে তিনি এই অভিযোগের সঙ্গে অভিনেতা জয়সুরিয়ার সংযোগ না খোজার জন্য অনুরোধ করেছেন গণমাধ্যমকে।
অভিনেত্রী মিনু মুনির, যিনি এর আগে অভিনেতা এম মুকেশ, জয়সুরিয়া, মানিয়ানপিল্লা রাজু এবং ইদাভেলা বাবুর বিরুদ্ধে সিনেমার শুটিং চলাকালীন যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি আবারও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি মুখ খোলার পরে হুমকি বার্তা পাচ্ছি।’ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হুমকি দেয়া বার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস