‘মিস্টার ইউনিভার্স ২০২৪’-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রথমবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন রিফাত মাহমুদ। ২য় রানার আপ হয়েছেন তিনি। এ খবর অনেকেই জেনে ফেলেছেন। তবে কেমন ছিলো রিফাতের এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা, তা জানতে চাইলে উঠে এলো দারুণ এক তথ্য।
রিফাত বলেন, ‘‘মিস্টার ইউনিভার্স ২০২৪’-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে টপ ৫ প্রতিযোগীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আমাদের আইডল কে ? তারা কোনো না কোনো হলিউড ও বলিউড ষ্টারের নাম বলে। আমাকে যখন এই প্রশ্ন করে আমি উত্তরে আমাদের দেশের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার নাম বলেছিলাম। কারণ তার অভিনয় যেমন আমাকে মুগ্ধ করে, তেমনি তার ব্যক্তিত্ব, জীবনদর্শনও আমাকে মুগ্ধ করে। সোহেল রানা বাংলাদেশে একজনই, তার কোন বিকল্প নেই। তার সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে বলব তিনি একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা, একজন অভিনয়শিল্পী ও একজন রাজনৈতিক নেতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে তার অবদান অসামান্য। অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনেতার পাশাপাশি তিনি একজন সফল প্রযোজক, পরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘ওরা এগারো জন’-এর প্রযোজক তিনি। আমার দেখা মতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে সবচেয়ে স্মার্ট এবং স্টাইলিশ হিরো, আমাদের ড্যাশিং হিরো। পারিবারিক জীবনেও সমস্ত ভূমিকায় তিনি আদর্শ।’
রিফাত আরও বলেন, ‘আমার আব্বুর পরে আমি তাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করি। কারণ আমার কাছে পেশার থেকে আরও বড় পরিচয় হলো ব্যক্তি মানুষ এবং মনুষত্ব্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাই, সোহলে রানার প্রধান পরিচয় হলো তিনি একজন ভালো মানুষ এবং যারা তাকে বাক্তিগতভাবে চিনেন তারাও আমার সাথে একমত হবেন। তিনি কখনই কারো সাথে প্রতারণা করেননি, সর্বদা তার প্রতিশ্রুতি রাখেন এবং সবাই তার সুন্দর হাসি পছন্দ করেন। কিন্তু আমরা তাকে যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি যতটুকু তিনি আমাদের কাছ থেকে প্রাপ্য। আমি জানি না একুশে পদকের জন্য কোন গুণগুলো অনুসরণ করা হয়। একজন আইন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্পষ্টতই বলতে চাই তিনি নিঃসন্দেহে একুশে পদকের প্রাপ্য। তারপরেও তিনি কেন এটি পাচ্ছেন না আমার বোধগম্য নয়। এটা অবশ্যই বাঙালি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা এবং সরকারের ব্যর্থতা। আমি আশা করব তিনি জীবিত অবস্থায় আমরা তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, রিফাত গত মাসে অনুষ্ঠিত ভারতের সম্মানজনক ‘মুম্বাই ফ্যাশন উইক’ এবং ‘ল্যাকমে একাডেমি সল্ট লেক প্রেজেন্টস ফ্যাশনোভা সিজন ৫’ এ অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গেও একাধিক কাজ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছেন। তিনি মডেলিং শুরু করেন ২০১৯। ২০২২-এ ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস ফটোজেনিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে সফলতার যাত্রা শুরু করেন।