বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)-এর এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ছোটপর্দার রানী মেহজাবীন চৌধুরী। উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে স্থান পায় তার অভিষেক সিনেমা ‘সাবা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন। শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
সেই উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি সুখবর দিলো ছবিটি। এবার এশিয়ার সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব ‘বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ জায়গা করে নিয়েছে মেহজাবীনের ছবিটি।
এ খবর একটু আগে মেহজাবীন নিজেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তার সেই পোস্টটি নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে বাংলাদেশের মেধাবী নির্মাতা আদনান আল রাজীব ছিটালেন ‘থু থু’!
মেহজাবীন আর আদনানের প্রেমের গুঞ্জন নতুন নয়। ফলে আদনানের এমন আরচণে কেউ আবার ভাববেন না যে এই দুই তারকার ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোন ফাটল ধরেছে!
আনদানের এই ‘থু থুু’ সেই ‘থু থু’ নয়। মেহজাবীনের ওপর যেন কারও নজর না লাগে সেজন্য সুখবর শেয়ার করে আদনান বরং ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ থু থু’! প্রিয় মানুষের সাফল্যে নির্মাতার এই আচরণ মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের।
গত ৭ সেপ্টেম্বর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ‘সাবা’র। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর আরও একটি শো হয়েছে। যাতে সরাসরি অংশ নিয়ে ছবিটি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এসময় পাশে ছিলেন ছবির অন্যতম অভিনেতা মোস্তফা মনওয়ার এবং নির্মাতা মাকসুদ হোসেন। ১৪ সেপ্টেম্বর আরও একটি শো আছে ‘সাবা’র।
এদিন মেহজাবীন একেবারেই সাদামাটা সাজে সাদা নেটের শাড়িতে হাজির হন। আর ৮ সেপ্টেম্বরের শো শেষে একগুচ্ছ সাদা লিলি ফুল হাতে যেন শান্তি ও সৌরভের বার্তা ছড়িয়ে দিনে টরন্টো শহরে। পরনের কালো পোশাক আর মিষ্টি রোদে দারুণ এক দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মেহজাবীন। যে আলো আর সৌরভের অনেকটাই আছড়ে পড়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে অভিনেত্রীর ভেরিফায়েড পেইজের সুবাদে।
ছবির নিচে মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসেন মেহজাবীন। বিপরীতে খবর মিলছে, প্রতিটি শোয়ের পর মুহুর্মুহু করতালিতে সিক্ত হচ্ছে ‘সাবা’ টিম।
এর আগে, টরন্টোয় উৎসবস্থলে গিয়ে মেহজাবীনের দেখা হয় তার অসম্ভব পছন্দের হলিউড অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের সঙ্গে। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরনো ভক্ত মেহজাবীন। ফলে দেখা হওয়ার পর ভক্তসুলভ ছবি তুলতেও ভোলেননি। সেটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশও করে তিনি নিজেকে ‘ভক্ত’ বলেও উল্লেখ করেন।
ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফ-এ ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’
‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। ‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মেহজাবীনকে। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন। মেহজাবীনের আশা, ‘গল্প, চরিত্র, নির্মাণ, সহশিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।’