বিচ্ছেদের ঘোষণা এসেছিল এক মাস আগেই। দাম্পত্য জীবনের ইতি কেন টানছেন? তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। তারপরও হলিউডের এই আলোচিত তারকা দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আর সেসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জেনিফার লোপেজ।
বিশ্বনন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী কেন তার সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছেন না? চতুর্থবার বিয়ে করেও কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো? এ প্রশ্ন এখন অনুরাগীদের অনেকের। তাই বিচ্ছেদ নিয়ে এবার সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন লোপেজ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২৬ বছরের অভিজ্ঞতায় একটা বিষয়ই আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমি চ্যালেঞ্জিং যে কোনো কিছু তখনই করতে পারব, যখন আমি মুক্ত থাকব। যে সত্যিকার অর্থে আকাশে উড়ার মতো। আমি কী এবং কিসে আমার সক্ষমতা, তা প্রমাণ করার জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি ছিল। তাই বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে হয়নি।’
লোপেজ আরও বলেছেন, ‘একজীবনে অনেক মানুষের দেখা মেলে, যাদের সঙ্গে পথ চলতেও ভালো লাগে। মনে হয়, দু’জনে মিলে গেলে জীবনটা আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে। আমার বেলায়ও সেটাই হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, সম্পর্ককে পরিণয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার পর সেটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কারণ, একটাই উভয়ের চিন্তাধারা বিস্তর তফাৎ। তাই একসঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাসও এক সময় বিষাদী হয়ে উঠেছে। ওজানি নোয়া, ক্রিস জাড, মার্ক অ্যান্থনি থেকে বেন অ্যাফ্লেক কেউই দাম্পত্য জীবনের গল্পে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেননি। বিবাহিত জীবনের গল্পে তাই ঘুরে ফিরে তাই একই দৃশ্যের অবতারণা।’
জেনিফার লোপেজ তার সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করার পাশাপাশি এও স্বীকার করেছেন যে, প্রতিবারই বিচ্ছেদের পর মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে বেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা নিয়ে।
অভিনেত্রীর কথায়, পুরোনো প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিতেই দুই দশক পর এক হয়েছিলাম আমি আর বেন। ভেবেছিলাম, এবার জীবন সুখের স্রোতে বইতে থাকবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙেছে তখনই, যখন বুঝতে পেরেছি, আমি আর বেন আসলে দুই মেরুর বাসিন্দা।