মেধাবী অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সোহানা সাবা বরাবরই নিজের মতামত প্রকাশ করতে পছন্দ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাত্র আন্দোলনে নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিদারুণ কটাক্ষের শিকার হলেও সাবা কখনোই কোন বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ থেকে বিরতি থাকেননি।
আজও নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। তিনি লেখাটা শুরু করেছেন সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মনি কিশোরকে নিয়ে।
সাবার ভাষ্য, ‘জানতে পারলাম, মনি কিশোর নামে একজন গায়ক মারা গেছেন আজ সকালে। তার গানগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু তিনি যে বেঁচে আছেন বা কোথাও আছেন সে সম্পর্কে কখনো কোন কৌতুহল তৈরি হয়নি। তার মত একজন গুণী গায়ক সে রকম কোন সুযোগ সুবিধা চেয়েছেন বা পেয়েছেন বলেও আমার জানা নেই। ভালো হয়েছে যে তিনি লোক চক্ষুর আড়ালে ছিলেন।’
সাবা আরও লিখেছন, ‘‘তিনি যদি সবার সামনে থাকতেন, অনেক শিল্পীদের জন্য অথবা অনেক অযোগ্য শিল্পীদের জন্য তিনি থ্রেট হিসেবে থাকতেন! তখন সে অশিল্পীরা বা অযোগ্য লোকরা এসে কোন একটা দুর্বলতার মুহূর্তে বলে উঠতেন, ‘ওর কি কোন বেল আছে? ও কি শিল্পী হওয়ার যোগ্য? একটা দুইটা গান গেয়ে ফেমাস হয়ে নিজের শিল্পী হিসেবে সত্তাকে বেচে দিয়েছেন!’’
এরপর ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে লিখেছেন সাবা, ‘‘কদিন আগে একটা চমৎকার পর্যালোচনা পড়ছিলাম, কি করে একটি অপ্রতুল দ্বীপে বড় মাংসাশী প্রাণীগুলো সাইজে ছোট হতে থাকে এবং কি করে ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি গিরগিটি সাইজে বড় হতে থাকে। কি করে আমাদের দেশে আবদুল্লাহ আবু সাইদের মতো পণ্ডিত ব্যক্তি থাকতে, কিছু মাথামোটা মানুষ সবার জাতীয় পণ্ডিতে পরিণত হয়! কি করে চমৎকার কিছু সিনেমায় চমৎকার অভিনয়ের পরেও কিছু মানুষ নিজের নামের পূর্বে ‘হিরো’ লাগিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।’’
সবশেষে সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘ডিজিটাল যুগে ভুলভাল কাণ্ড করে অথবা সেলিব্রেটিদের সাথে নিজের পিআর বাড়িয়ে নিজেদেরকে সেলিব্রেটি ভাবলেই কি আপনি সত্যিকারের শিল্পী হয়ে উঠলেন? একবার ভাবুন, মাথাটা খাটান। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। অবশ্য মাথা এবং আয়না পরিষ্কার থাকলে পরিষ্কার দেখতে পাবেন, না হলে কিছুই দেখতে পাবেন না। এই ভুল ধারণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন।’