জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরকে বিএনপিপন্থী শিল্পী হিসেবেই সবাই জানেন। আওয়ামী ক্ষমতার মধ্যেও নিজেকে বিএনপিপন্থী শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন এই তারকা।
তবে তার জন্য তাকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মনির খান, বেবি নাজনিন, কনকচাঁপা, ন্যানসির মতো তিনিও ক্যরিয়ারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তুঙ্গে থাকা সঙ্গীত ক্যারিয়ার অনেকটাই দ্যূতিহীন হয়ে পড়েছিলো।
ফলে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে তিনি যে সোচ্চার থাকবে সেটা অনেকটা অনুমেয় ছিলো। আন্দোলনের সময় সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির পাশাপাশি রাজপথেও ছিলেন সক্রিয় আসিফ। শুধু তাই নয়, ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ জানাতে নিজের ছেলেকে নিয়েও হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এদিন গণআন্দোলনে লাখও জনতার জমায়েতে আসিফ তার ছেলেকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই প্রজন্ম হারবে না। আমি আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। তোমরা ওকে মেরে ফেলবে, মেরে ফেলো। যেভাবে ছাত্রদের মারা হচ্ছে, তা মানা যায় না। আমাদের একটাই দাবি, স্বৈরশাসকের পদত্যাগ চাই।’
বিষয়টি নিয়ে তখন অনেকেই আসিফের প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন আলোচিত-সামলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও। যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নীরব থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আসিফের সেই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘আমি ভিতু, আসিফ ভাই সাহসী। এ জন্যই চিরকাল আসিফ ভাই আমার চেয়ে অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য। আসিফ ভাই স্যালুট।’
তবে জয়ের এই পোস্টও নেটিজেনদের মন ভরাতে পারেনি। কেউ কেউ অভিনেতাকে উপদেশও দিয়েছেন। তাদের মন্তব্যগুলো অনেকটা এমন যে, চাটুকারিতা না করলে জয়ও সাহসী হতে পারতেন। তাই এগুলো বাদ দিয়ে জয়কে দেশ ও মানুষের কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন মন্তব্যকারীরা।
তবে এ কথা বলতেই হবে, শাহরিয়ার নাযিম জয়ই একমাত্র শিল্পী যিনি আন্দোলনে চুপ থাকার জন্য নিজের ভুল জনসম্মুখে তুলে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন আওয়ামীপন্থী তারকাকে এখনো এভাবে নিজের ভুল নিয়ে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।