‘সোনারও পালঙ্কের ঘরে, লিখে রেখে ছিলেম দ্বারে/যাও পাখি বলো তারে, সে যেন ভোলে না মোরে/সুখে থেকো, ভালো থেকো, মনে রেখো এ আমারে’- ‘মনপুরা’ ছবির এই গানের সুবাদে ঘরে ঘরে শ্রোতারা মনে রেখেছেন চন্দনা মজুমদারকে। এবার রাধারমণের গান নিয়ে অ্যালবাম সাজিয়েছেন তিনি। এর নাম রাখা হয়েছে ‘প্রাণবন্ধু বিহনে’।
চন্দনা মজুমদার নতুন সংগীতায়োজনে রাধারমণের ১০টি গান গেয়েছেন। এগুলো হলো- ‘জলে যাইয়ো না গো রাই’, ‘আমি কৃষ্ণ কোথায় পাই’, ‘শ্যাম তুমি আও না কেনে’, ‘আমার প্রাণ যায় প্রাণবন্ধু বিহনে’, ‘বিপদ ভঞ্জন মধুসূদন নামটি’, ‘এমন মায়ার কান্দন আর কাইন্দো না’, ‘শ্যাম দেও আনিয়া বৃন্দে’, ‘যাও রে ভ্রমর উড়িয়া’, ‘আমারে বন্ধুয়ার মনে নাই’ ও ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’। যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন কলকাতার দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়।
আষাঢ়ের প্রথম দিনে ১৫ জুন সন্ধ্যা ৭টায় অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করবেন সংগীত ব্যক্তিত্ব আকরামুল ইসলাম। রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বেঙ্গল শিল্পালয়ে তিন দিনের অনুষ্ঠান ‘গানের ঝরনা তলায়’-এর সমাপনী সেদিন। এর আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
প্রথম দিন ১৩ জুন সন্ধ্যা ৭টায় রয়েছে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত নিয়মিত শাস্ত্রীয়সংগীত আসর বৈঠক। এর পরদিন একই সময়ে ‘প্রাণের খেলা’য় রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে শোনাবেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, নূর-ই-রেজিয়া মম ও আদ্রিনা জামিলী।
এদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি ৩৭টি নতুন ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
সিলেটের জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৮৩৩ সালে ২৫ মে রাধারমণ দত্তের জন্ম। ঐতিহ্যবাহী সিলেটি ধামাইল সংগীত সুরকার ও গীতিকার ছিলেন তিনি। ১৯১৫ সালে তার মৃত্যু হয়।