বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও তার স্ত্রী জরিনা ওয়াহাবের দায়ের করা মানহানি মামলায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত ও তার বোন রঙ্গোলি চান্দেলকে সমন পাঠিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত। আগামী ২৬ জুলাই হবে এই মামলার শুনানি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদিত্য পাঞ্চোলির আইনজীবী শ্রেয়া শ্রীবাস্তব বলেন- ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে আদিত্য পাঞ্চোলি ও তার স্ত্রী জরিনা ওয়াহাবকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রনৌত। এছাড়া তার বোন রঙ্গোলি চান্দেল টুইটারে এই দম্পতিকে নিয়ে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করেছিলেন। এর ভিত্তিতে দুই বোনের বিরুদ্ধে চারটি মানহানির মামলা দায়ে করেন তারা। সেই মামলায় মোট চারটি সমন জারি করেছেন আদালত।
যোগ করে শ্রেয়া আরও বলেন- সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছিলেন, আদিত্য নাকি তার বাড়িতে তাকে আটকে রেখেছিলেন। এমন অভিযোগ এনে তিনি বলিউডের এই অভিনেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় আদিত্যর নামে এমন অভিযোগই নেই। ফলে বেশ অপমানিত হতে হয় আদিত্যকে। এরপরই তিনি কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, সপ্তাহ খানের আগে এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদিত্য-কঙ্গনার প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং স্বামীর পক্ষ নিয়ে জরিনা বলেছেন- ‘অন্য সকলের চাইতে আমি তাকে (আদিত্য পাঞ্চোলি) বেশি জানি। তিনি আমার কাছে কখনও কিছু লুকিয়ে রাখেন না। এমনকি অতীতে কী হয়েছে আমি সেটিও জানি। তিনি ভুল কিছু করেননি।’
যোগ করে জরিনা আরও বলেন, ‘তুমি (কঙ্গনা) একটি সম্পর্কে বছর খানেকের বেশি টিকতে পারো না। আর ওই মানুষটাও যখন সম্পর্কটি রাখতে চায় না তখন তুমি অভিযোগ তোলো সে তোমাকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো তিনি তো তোমার সঙ্গে থাকতেই চান না।’
১৯৮৬ সালে জরিনা ওয়াহাবের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি। ২০০০ সালের দিকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের সঙ্গে শুরু হয় আদিত্যর মন দেওয়া-নেওয়া। সেসময় সবেমাত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন কঙ্গনা। প্রায় সাড়ে চার বছর প্রেম করেছিলেন তারা।
কিন্তু হঠাৎ করে ভেঙে যায় আদিত্য-কঙ্গনার প্রেম। পরে ‘আপ কি আদালত’ নামে একটি টেলিভিশন শোতে এসে আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কঙ্গনা বলেছিলেন- ‘তিনি আমাকে মারধর করতেন। একবার তিনি আমাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন। ফলে আমার মাথা থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। সেসময় মাত্র ১৭ বছরের ছিলাম আমি।’
ওই অনুষ্ঠানে নিজের দোষের কথাও স্বীকার করে কঙ্গনা বলেছিলেন- ‘আমিও আমার স্যান্ডেল খুলে তার মাথায় আঘাত করেছিলাম। তার মাথা থেকেও রক্ত বের হয়েছিলো।’