নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী পরীমনি। হাসপাতালের ভেতরে একজনকে পিটিয়ে এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে অ্যাপোলো হাসপাতালের ৭ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই ফ্লোরে ৭২০২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পরীমনির নানা। সেখানে আগে থেকেই পরীমনি অবস্থান করছিলেন। এক ব্যক্তি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সেই কক্ষে প্রবেশ করেন। ডাক্তার পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি নিজেকে পরীমনির প্রেমিক দাবি করেন বসেন। মোবাইলে কল রেকর্ড দেখিয়ে তিনি প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় পরীমনি ও ওই ব্যক্তির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ওই আগন্তুককে মারপিট শুরু করেন পরীমনি। ফিল্মি স্টাইলে তাকে মারতে মারতে কেবিনের বাইরে নিয়ে আসেন। করিডোরে তাকে ফেলেও লাথি মারেন পরীমনি নিজে ও তার দুই সহযোগী। হাসপাতালের স্টাফরা অনেক কষ্টে তাদের নিবৃত করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশ ডাকলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ডাক্তারকে জেরা করতে দেখা গেছে।
ঘটনাটিতে হাসপাতালে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পরীমনির মারামারির দৃশ্য কেউ কেউ সিনেমার শুটিং ভেবে ভুল করেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিতর্কিত এই চিত্রনায়িকা অভিনেত্রী হিসেবে যতটা আলোচিত হয়েছেন তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন। পরীমনির একাধিক বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। এ নিয়ে পরীমনি বিভিন্ন সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন। পোশাক-পরিচ্ছদ, বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও নিয়েও তাকে নানান সময়ে বিতর্কে মুখে পড়তে হয়েছে।
পরীমনি মডেলিংয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। মডেলিং থেকে ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন পরীমনি। অভিনয় জীবন শুরু করেন টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি সেকেন্ড ইনিংস, এক্সক্লুসিভ, এক্সট্রা ব্যাচেলর, নারী ও নবনীতা তোমার জন্য এ চারটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন।
প্রথম সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন পরীমনি। ছবি মুক্তির আগেই মিডিয়ায় নানা ধরনের খবরের জন্ম দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। শাহ আলম মন্ডল পরিচালিত ভালোবাসা সীমাহীন তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। কিন্তু তিনি আলোচনায় আসেন নজরুল ইসলাম খানের রানা প্লাজা চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে।