যতটা না আলোচনায় এসেছেন তার চেয়ে যেন বেশি সমালোচনায় মাঈনুল আহসান নোবেল। জাতীয় সংগীত বিতর্কের পর এবার নোবেল আলোচনায় কথিত প্রেমিকা কর্তৃক নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে।
১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রেমিকা দাবি করে শাহরিন সুলতানা নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে নোবেলের কিছু নগ্ন ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। যেখানে নোবেলকে মাদকসেবী, নারীলোভী আখ্যা দিয়ে ওই নারী অভিযোগ তোলেন নোবেলের সঙ্গে তার প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের নামে প্রতারণার।
স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছু সময় পর ওই নারীর ফেসবুক আইডি খুঁজে না পাওয়া গেলেও দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেই স্ট্যাটাস ও নোবেলের নগ্ন ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেট দুনিয়ায়।
এরপর থেকে আবার নতুন করে আলোচনা সমালোচনায় নোবেল। সমালোচনা এতটাই যে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদও প্রকাশ করেছে ওই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে। যদিও রহস্যজনক ঐ ফেসবুক আইডির সম্পর্কে ওই স্ট্যাটাস ছাড়া কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই নোবেলের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই নোবেল ভক্তরা তার প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নোবেল ভক্তদের দাবি, নোবেলের জনপ্রিয়তাকে শেষ করতে একটি মহল পর্দার পিছন থেকে এমন কাজ করেছে। আর নোবেলের ছবিগুলো ফটোশপের কারসাজি বলে দাবিও করছেন তারা।
নোবেলের ভাইরাল হওয়া সেই ছবিগুলো বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের কাছে সংরক্ষিত থাকলেও প্রকাশ অনুপযোগী হওয়ায় সেগুলো প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শাহরিন সুলতানা নামের ওই ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা ৮ টি ছবির দুইটি ছবি নোবেলের বেড রুমের বলে দাবি করেছে ওই নারী। এছাড়া নগ্ন ছবিতে নোবলকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা গেছে। তবে নোবেলের নগ্ন সেই ছবি ফটোশপের কারসাজি সেটাও নিশ্চিত করা যায়নি।
যাকে নিয়ে সপ্তাহ জুড়ে এত আলোচনা সেই মাঈনুল আহসান নোবেল কি বলছেন ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো নিয়ে। এমন প্রশ্ন নিয়ে নোবলের সঙ্গে ১৩ আগস্ট থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম। তবে এ ব্যাপারে নোবলের বুক ফাটে তবুও মুখ ফোটে না এমন অবস্থা। নোবেলের মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুকে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলেও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন নোবেল।
বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম এ প্রসঙ্গে কথা বলতে নোবেলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নোবেল এই ব্যাপারে মিডিয়াতে কথা বলে কোন ভাবেই আগ্রহী নন, তবে এমন সে কাণ্ডে হতাশ ও বিব্রত। সে মনে করছে চুপচাপ থাকলে বিষয়টা নিয়ে আস্তে আস্তে আলোচনা কমে আসবে।
অভিযোগ আছে নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়ার পর সমালোচনায় প্রায় ১০ ঘণ্টার মত দেশে বন্ধ রাখা হয়েছিল নোবেলের প্রায় ১০ লাখ ফলোয়ার সমৃদ্ধ নোবেলের ফেসবুক পেজ নোবেল ম্যান। তবে সেই পেজটি এখন সচল আছে এবং ১৬ আগস্ট গভীর রাতে নিজের কাজের খবর জানিয়েছেন নোবেল।
তবে নিজের সম্পর্কে এমন ভয়াবহ অভিযোগের উঠার পরও নোবেলের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শোবিজের মানুষরা। তারা মনে করেন নোবেল যদি নির্দোষ বা কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে তবে তার এই প্রসঙ্গে পরিষ্কার বক্তব্য নেওয়া উচিত। নোবেলের এই নীরবতায় ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিস্ময় বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই হবে না।