২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ। এক ক্ষুদে বার্তায় ঘুম ভাঙল, যেখানে লেখা ছিল, ‘বাচ্চু ভাই মারা গেছেন।’ প্রথমে বিশ্বাস হয়নি কিন্তু ফেসবুকে যেতেই চোখে পড়ল দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক তাদের অনলাইন ভার্সনে ব্রেকিং নিউজ আকারে খবর প্রকাশ করেছে, ‘না ফেরার দেশে আইয়ুব বাচ্চু।’
আজ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ। আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর ১ বছর আজ। এক বছর আগের এই দিনে দেশের ১৬ কোটি মানুষের চোখ ছিল স্কয়ার হাসপাতালে, সবশেষ চট্টগ্রামে। কেননা আজকের এই দিনে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৯টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাঁর কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীকে।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। তারপর হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্য সেরা গিটারবাদক।
হাসতে দেখা, গাইতে দেখা আইয়ুব বাচ্চুর জীবনে ছিল এক বুক ভরা বেদনা। তাঁর কাছের মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন একজন অভিমানী মানুষ, অভিমান পুষে রাখতেন। নিজের গানেও বলেছেন সেসব কথা। বলেছিলেন, আমাকে কাঁদাবে আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে। অভিমান পুষে রাখতে রাখতে হঠাৎ একদিন সকালে রুপালী গিটার ফেলে ঠিকই আইয়ুব বাচ্চু উড়াল দিয়েছেন।