অবশেষে গুঞ্জন সত্যি হলো। ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর (শারমীন নাহিদ নূপুর) গেল ২৬ জানুয়ারি মাদকাসক্ত, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং পরনারীতে আসক্তের অভিযোগ এনে স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দিয়েছেন। শাবনূরের স্বাক্ষরিত সেই তালাক নোটিশের একটি অনুলিপি এসেছে বার্তা২৪.কমের কাছে।
জানা গেছে, শাবনূর গেল ৪ ফেব্রুয়ারি তার অ্যাডভোকেট (তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী) কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিক মাহমুদকে এই তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এর ফলে অনিককে সঙ্গে প্রায় ৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন এই অভিনেত্রী। যদিও এই প্রসঙ্গে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা শাবনূর ও অনিকের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এ প্রসঙ্গে কথা বলতে শাবনূরের অস্ট্রেলিয়ার ফোন নম্বরে বার্তা২৪.কমের পক্ষে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।
তবে তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অনিকে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। সেই নোটিশ গেল ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসা পাঠানো হয়েছে। এর ফলে আইনগত ভাবে তাঁদের তালাক কার্যকর হবে ৯০ দিন পর।
তালাক নোটিশে শাবনূর বলেছেন, আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। এরপর ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের ঘরে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।