সাড়া পড়েনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আবেদনে, বাড়ছে মেয়াদ

সিনেমা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-06 18:52:18

তুলনামূলক কম সাড়া পাওয়ায় ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদনের মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে তথ্য মন্ত্রণালয়। তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নবনিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন দাবি করেছেন, করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেকে চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারায় মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের দাবি, তুলনামূলক কম সাড়া পাওয়ায় এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আবেদনের মেয়াদ বাড়ছে।

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। প্রতিবারের মতো এ বছরও ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আহবান করে তথ্য মন্ত্রণালয়।

সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগ্রহীদের উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে দিতে হবে। তার আগে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে এর জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এবারও ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে। চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-

১. কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
২. আজীবন সম্মাননার জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে।
৩. যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সেই সিনেমায় বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৪. পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অবশ্যই ছবিটিকে সেন্সর সনদ পেতে হবে এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।
৫. কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
৬. বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারে বিবেচিত হবে না।

১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর