আনলাকি তারকা যীশু সেনগুপ্ত!

সিনেমা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 13:29:22

টেলিভিশন সিরিজ ‘মহাপ্রভু’র মধ্য দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রেখেছেন তিনি। যেখানে চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্রে দেখা গিয়েছিলো তাকে। বলতে গেলে, এই চরিত্রের সুবাদে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। কথা হচ্ছে- ওপার বাঙলার জনপ্রিয় তারকা যীশু সেনগুপ্তকে নিয়ে।

যীশু সেনগুপ্ত

১৯৯৯ সালে ‘প্রিয়জন’ ছবির মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় যীশু সেনগুপ্তর। তবে বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখেনি ছবিটি। পরে তিনি ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ছেলেবেলা’তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিও ব্যর্থ হয় বক্স অফিসে। যার ফলে এই তারকাকে সেসময় বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিলো।

ব্যর্থতার পরই নাকি জীবনে সফলতা আসে! যীশু সেনগুপ্তের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলচ্চিত্র দুনিয়ায় প্রবেশের পর তার অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবি একের পর এক ব্যর্থ হতে থাকে। আর সেসময় তাকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ দেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। তার পরিচালিত ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’তে অভিনয় করে ফিল্মি ক্যারিয়ারে সফলতার মুখ দেখেন যীশু।

যীশু সেনগুপ্ত

এরপর ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘আবহমান’-এ কাজ করেন তিনি। এই ছবিটিই ছিলো তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর একই পরিচালকের ‘নৌকাডুবি’ ও ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’-এ কাজ করেন। ছবি দুটি বাণিজ্যিকভাবে বেশ সফলতা অর্জন করে।

‘বারফি’, ‘পিকু’, ও ‘মনিকর্ণিকা’র মতো ব্যবসাসফল হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন যীশু সেনগুপ্ত। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ‘শকুনতলাদেবী’। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন বিদ্যা বালান। এছাড়াও মহেশ ভাটের ‘সড়ক টু’তে দেখা যাবে তাকে।

বর্তমানে বলিউড ও টলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন যীশু সেনগুপ্ত। কিন্তু ৪৩ বছর বয়সী এই তারকাকে দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে বেড়াতে হয়েছিলো ‘আনলাকি তারকা’র তকমা।

মহেশ ভাট ও যীশু সেনগুপ্ত

‘শকুনতলাদেবী’র প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছিলেন যীশু সেনগুপ্ত। সেখানেই পুরানো দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আনলাকি তারকা’ এই শব্দটি দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াতে হয়েছে আমাকে। কেউ আমার ওপর বিশ্বাস রাখেনি। পরিবার চালানোর মতো অর্থও ছিলো না সেসময় আমার কাছে। যখনই কোন সুযোগ আসতো সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম। একটা সময় সবকিছু হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছিলাম আমি। কাজ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শুধু ড্রিংস করতাম। অন্য এক ভুবনে চলে গিয়েছিলাম আমি। ওই দিনগুলো আমার জন্য সহজ ছিলো না। ঘর থেকেও বের হতাম না। আর ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় কাজ করেই সেটি সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাকে উপরের দিকে তুলে আমার জীবনের সঠিক রাস্তায় নিয়ে যান।”

এ সম্পর্কিত আরও খবর