নতুন রূপে আলী আমজদের ঘড়ি

, ফিচার

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 06:04:17

কেবল রাত বারটা বাজার অপেক্ষা। সবার জনতার চোখ আলী আমজদের ঘড়ির দিকে। ঘড়ির কাঁটা রাত বারটার ঘর পার হতেই  চারদিকে রঙিন আলোর ঝলকানি। একের পর এক আতশবাজির ঝিলিকে ঝলমল করে উঠল সুরমা নদীর এপাড়-ওপাড়। জনতার চোখে বিস্ময়!  এমন দৃশ্য হয়তো এতদিন কেবল লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনকে ঘিরেই দেখেছি আমরা। এবার সিলেটবাসীর গর্ব ও  ঐতিহ্যের প্রতীক আমজদ আলীর ঘড়িকে ঘিরেই এই দৃশ্য বাস্তব করে তুলতে চায় মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড। পরিবেশ বান্ধব পর্যটনের জন্য বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত এই প্রতিষ্ঠান আবারো পুরনো জৌলুস ফিরিয়ে দিতে চায় আলী আমজদের ঘড়িকে।

আলী অমজদের ঘড়িকে ঘিরে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রস্তাব এরইমাঝে সিলেটের মেয়র বরাবর জমা দিয়েছে মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড

আলী অমজদের ঘড়িকে ঘিরে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রস্তাব এরইমাঝে সিলেটের মেয়র বরাবর জমা দিয়েছে মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড। প্রতি বছর মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ছাড়াও এই প্রস্তাবনার মাঝে আছে- ঘড়িটির নিয়মিত পরিচর্যা, গোটা চত্বরের সৌন্দর্য বর্ধন ও ল্যান্ডস্কেপিং। আছে, এই ঘড়ি দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও।

মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, ‌' দেশব্যাপী বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যেগ নিতে যাচ্ছি আমরা। কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য পরিকল্পনা হাতে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। আলী আমজদের ঘড়ি আমাদের দেশের গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এটিকে আমরা দেশে তো বটেই এমনকি বাইরের বিশ্বের কাছেও একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।' 

নগরের কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান

নগরের কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান। এ ঘড়ি স্থাপিত হয় ১৮৭৪ সালে। তৎকালীন বড়লাট লর্ড নর্থব্রুকের সিলেট সফরকে স্মরণীয় করতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খান ঘড়িটি নির্মাণ করেন। ঘড়ির নামকরণ করেন পুত্র আলী আমজদ খানের নামে। আলী আমজদের ঘড়ির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর