কী মর্মান্তিক! কী হৃদয়বিদারক!

, ফিচার

আনিসুর বুলবুল | 2023-08-30 05:21:50

করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন বাবা-ছেলে

ঘটনাটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের। গত ২২ জুলাই করোনা আক্রান্ত মো. আলমগীরকে (৩৫) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ভর্তি করা হয় তার বাবা আবু সৈয়দ চৌধুরীকে (৮০)। হাসপাতালে একদিন পরে ভর্তি করা হলেও মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে মারা যান আবু সৈয়দ চৌধুরী এবং ১২ ঘণ্টা পর (বুধবার) মারা যান তার ছেলে মো. আলমগীর।

ছেলে করোনা আক্রান্ত শুনে মায়ের মৃত্যু, পরে ছেলের মৃত্যু খবর পেয়ে মারা গেলেন বাবাও!

ঘটনাটি সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ইউনিয়নের সদান্দনপুর গ্রামের। গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন সেনাবাহিনীর সাবেক ল্যান্স করপোরাল হাজী শহিদুল ইসলাম স্বপন (৬৫)। সেখানে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ খবর শুনে ঈদের দিন (২১ জুলাই) স্ট্রোকে তার মা রাবেয়া বেগমের (৯৫) মৃত‌্যু হয়। হাসপাতালে হাজী শহিদুল ইসলাম স্বপনের অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে তার মৃত‌্যু হয়। এদিকে এ সংবাদ শোনার পর দুপুরের দিকে স্বপনের বাবা হাজী আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীও (১০৫) স্ট্রোকে মারা যান।

মুমূর্ষ মায়ের আইসিইউ বেড ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার পর শ্বাসকষ্টে মায়ের মৃত্যু!

গত ১৫ জুলাই বয়সী কানন প্রভা পাল (৬৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি হন। এর কয়েকদিন পর তার ছেলে শিমুল পালও (৪৩) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন একই হাসপাতালে। মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে ২২ জুলাই আইসিইউ বেডে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ছেলের জন্যও আইসিইউ সাপোর্ট জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ কোনোটিই খালি না থাকায় স্বজনরা লিখিতভাবে আবেদন করে মায়ের পরিবর্তে ছেলেকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য। এরপর ২৭ জুলাই মাকে আইসিইউ থেকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মা প্রাণ হারান। ঘটনাটি চট্টগ্রাম শহরের সিএমপি কলোনির।

সকালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে বিকালে করোনায় মায়ের মৃত্যু

সন্তানসম্ভবা অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভির নারী সাংবাদিক রিফাত সুলতানা (৩২)। প্রথমে তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে সেখান থেকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে উত্তরার কেসি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ইম্পালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৬ এপ্রিল সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে করোনায় মারা গেলেন মা

ঘটনাটি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ডেফলউরা গ্রামের। সন্তানসম্ভাবা লিমা আক্তারকে (২১) ঈদের আগে মৌলভীবাজারের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এ সময় তার করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে গাইনি ডাক্তার করোনা টেস্ট করানোর জন্য বলেন এবং সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নমুনা দেয়ার তিন দিন পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেখানের ডাক্তাররা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়ে সিজারে ঈদের দিন (২১ জুলাই) ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দেন তিনি। এরপর ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ৯টায় সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় মারা গেলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া আক্তার (২৮) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১২ জুলাই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই দিনই সানিয়া আক্তারকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৬ জুলাই তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল কম। তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট ছিল। হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত দেশ। কী মর্মান্তিক! কী হৃদয়বিদারক! সব ঘটনা ঘটে চলেছে দেশে। সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় কেড়ে নিচ্ছে কারো প্রাণ; কেউ ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে বুকের দুধও খাওয়াতে পারেননি; কেউ আবার সকালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর বিকালেই ঢলে পড়েছেন মৃত্যুর কোলে; কোথাও আবার মুমূর্ষ মায়ের আইসিইউ বেড ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার পর শ্বাসকষ্টে মায়ের মৃত্যু ঘটেছে! কোথাও ছেলের করোনা আক্রান্ত শুনে মায়ের মৃত্যু হয়েছে, পরে ছেলের মৃত্যু খবর পেয়ে মারা গেছেন বাবাও! আবার কোথাও ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেছেন বাবা-ছেলেও!

দিন দিন দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। শুধু শহর নয়, জেলা-উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও বেশিরভাগ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ শয্যা। রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন। শুধু আইসিইউ নয়, সাধারণ শয্যা পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে অনেককে। রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন দিয়ে রাখলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। হাসপাতালগুলোর ফটকে, আঙিনায়, করিডরে, বারান্দায় রোগীর স্বজনেরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। একটু পরপর রোগী আসছেন, নিয়মিত বিরতিতে মানুষের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসক–নার্সদের আপ্রাণ চেষ্টা আছে। আবার কোথাও কোথাও অবহেলার অভিযোগও আছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এত কম জনবল দিয়ে কি এত রোগী সামলানো যায়!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা যাবে, তত সংক্রমণের সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। আর রোগী শনাক্ত করা গেলে নিয়ন্ত্রণকাজ আরো সহজ হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও পরীক্ষা না করানোয় বুঝতে পারে না। বাড়িতে থেকে অবস্থা যখন জটিল হয় তখন হাসপাতালে ছোটে, কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। তারা বলছেন, মৃত্যু কমাতে হলে সবার আগে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ হাজার ২৫৫ জন মানুষ। এরমধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৭৫০ জন এবং মহিলা ৬ হাজার ৫০৫ জন। যা অদ্যবধি শতকরা হিসেবে যথাক্রমে ৬৭.৮৮ শতাংশ ও ৩২.১২ শতাংশ।

করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে ৯ হাজার ৩৪৯ জন। এরপর চট্টগ্রামে ৩ হাজার ৭৫৩ জন, খুলনায় ২ হাজার ৬৯০ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৬১ জন, রংপুরে ১ হাজার জন, সিলেটে ৭৩৬ জন, বরিশালে ৬৩৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৫৩১ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ৫৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ১৩২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪৪৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ হাজার ১৮০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ হাজার ৪৩৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ হাজার ৮২৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬ হাজার ২৯৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩ হাজার ৫২৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১ হাজার ১১০ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের ২১৯ জন এবং ১০০ বছরের উর্ধ্বে ২৪ জন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ হাজার ৭৬৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩১ জন, বাসায় মারা গেছেন ৫৩৭ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন ২৩ জন।

এছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দাই ৭ লাখ ৪২ হাজার ৩৭৬ জন। এরপর চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৪ জন, খুলনায় ৯১ হাজার ৪০০ জন, রাজশাহীতে ৮১ হাজার ৪৩৯ জন, রংপুরে ৪৩ হাজার ৯ জন, সিলেটে ৩৭ হাজার ৮২৮ জন, বরিশালে ৩২ হাজার ১২৫ জন এবং ময়মনসিংহে ২৪ হাজার ৯৪২ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, বড় সমস্যাটি হয়েছে দুই ঈদে মানুষের চলাচল ও অসতর্ক থাকার প্রবণতা। বিশেষ করে যারা পজিটিভ হয়ে বাসায় থাকছে তাদের ঠিকমতো মনিটর করা হচ্ছে না। কম উপসর্গধারীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়, যাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বিস্তার ঘটছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা না করেও উপসর্গ নিয়ে অনেকেই বাড়িতে থাকছে। জটিল অবস্থায় শেষ সময়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করছে। এটাও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সরকারের উচিত যত পজিটিভ রোগী হয় প্রত্যেককে মনিটর করা। এর মাধ্যমেই বোঝা যাবে কাকে কখন হাসপাতালে যেতে হবে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, মৃত্যু কমাতে হলে সবার আগে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই বয়স্কদের টিকা আগে নিশ্চিত হয়েছে সেখানেই মৃত্যু কমেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, এক পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে পারিবারিকভাবে আইসোলেশনের ব্যাপারে মানুষ সতর্ক নয়।

তিনি বলেন, যারাই পজিটিভ হয় সবাইকেই আইসোলেশনের পাশাপাশি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। এ ছাড়া বয়স্ক ও যাদের আগে থেকে কোনো রকম জটিলতা আছে তাদের পজিটিভ হলেই হাসপাতালে যেতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সামনে কঠিন অবস্থা আসছে। এখন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৩৭ জনের। ওই সময় রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন। রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর