নেত্রীকে বাঁচাতে ‘রক্ত ঝরা বিকেলে’ তৈরি হয়েছিল মানববর্ম!

, ফিচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 22:00:43

বাংলাদেশের ইতিহাসে আগস্ট মাস যেন একটা রক্তাক্ত অধ্যায়। এ মাসে জাতির জীবনে বারবার নেমে এসেছে অমানিশা। রাতের অন্ধকারে সপরিবারে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা! এরপর গর্তে থাকা ১৫ আগস্টের সেই শক্তি যেন আরেকবার জেগে উঠল ২০০৪ সালের আগস্টে। সেদিনের পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেষ্টায় রক্তের বন্যা বয়ে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে!

আজ সেই রক্ত ঝরা ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিভীষিকাময় দিন। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। বাঙালি জাতির জীবনে আরেক মর্মন্তুদ অধ্যায় রচনার দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে অলৌকিকভাবে তার জীবন রক্ষা করেন। তবে নেত্রীর জীবন বাঁচাতে পারলেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী।

ওই দিনের মৃত্যুর মিছিলে ছিলেন মহিলা লীগের তৎকালীন সভাপতি আইভী রহমান, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। ভয়াবহ, নৃশংস, নিষ্ঠুর-নির্মম গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা ভাগ্যের জোরে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তার দুই কান ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হামলায় আহত হয়েছিলেন শতাধিক। যাদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। অনেকে এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন রক্তাক্ত ভয়াল হামলার স্প্লিন্টারের দগদগে ক্ষত।

কেমন ছিল সেই পড়ন্ত বিকেল

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি সরকারের সন্ত্রাস-দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। একটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ চলছিল। লোকে-লোকারণ্য ছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।   

বিকাল পাঁচটার দিকে শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে যান। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তাকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় তিনি অস্থায়ী মঞ্চে ওঠেন। তার বক্তব্য শুরু করেন ৫টা ২ মিনিটে। ২০ মিনিটের বক্তব্য শেষে ৫টা ২২ মিনিটে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ ছাড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এক সাংবাদিক ছবির জন্য অনুরোধ করেন। ফটোগ্রাফারের অনুরোধ রাখতে শেখ হাসিনা আবার ডায়াসে ঘুরে দাঁড়ান। হঠাৎ করে দক্ষিণ দিক থেকে তাকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়া হয়। গ্রেনেডটি ট্রাকের বাঁ পাশে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। শেখ হাসিনা ট্রাকের ওপর বসে পড়েন। সঙ্গে থাকা নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাকে ঘিরে ফেলেন; যাতে তার গায়ে কোন আঘাত না লাগে। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মাদ হানিফের গায়ে গ্রেনেডের আঘাত লাগে।

প্রথম গ্রেনেডের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রাক লক্ষ্য করে পর পর আরও দুটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এক-দেড় মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি মতো সেখানে ১৩টি বিকট বিস্ফোরণ ঘটে।

তখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) শোয়েব, ব্যক্তিগত স্টাফ নজীব আহমেদসহ দেহরক্ষীরা শেখ হাসিনাকে ধরে ট্রাক থেকে দ্রুত নামিয়ে তার গাড়িতে তুলে দেন। যদিও শেখ হাসিনাকে ঘেরাও করে রাখা আওয়ামী সভাপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী মাহবুব স্পটেই মারা যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বর্নায় জানা যায়, প্রথম দফায় হামলার পর স্টেডিয়ামের দিক হয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত শেখ হাসিনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দলীয় সভাপতি যখন ঘটনাস্থল ত্যাগ করছিলেন, তখনও একই দিক থেকে কয়েক সেকেন্ড বিরতি দিয়ে গ্রেনেড এসে ঘটনাস্থলে বিস্ফোরিত হতে থাকে। একইসঙ্গে চলছিল তার গাড়ি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ। এসব গুলি ও গ্রেনেড ঠিক কোথা থেকে ছোড়া হচ্ছিল, তা বোঝা না গেলেও বেশ পরিকল্পিতভাবে যে হামলা হয়েছে, তা পরে বোঝা যায়। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদনে গিয়ে তাকে বহনকারী মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটির সামনে-পেছনে গ্রেনেড ও গুলির আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বনর্নায়, ঘটনার পর ওই জায়গাটি যেন হয়ে পড়েছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো। বিস্ফোরণের শব্দ, আহতদের চিৎকার-আহাজারি, রক্তাক্ত নেতাকর্মীদের ছুটোছুটিতে পুরো এলাকা বিভীষিকায় হয়ে ওঠে। চারদিকে ছোপ ছোপ রক্ত আর মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ। বিচ্ছিন্নভাবে পড়েছিল পায়ের জুতা, সেগুলো ছিল রক্তে লাল। অনেককে দেখা যায়, পথে রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটোছুটি করতে। গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দলীয় নেতাকর্মীদের। এ অবস্থায়ই রিকশা, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, বেবিট্যাক্সি, এমনকি রিকশা ভ্যানে করেও আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় অনেককে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থেকে সাহায্যের জন্য আকুতি জানাতে দেখা যায়।

বিস্ফোরণের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সেদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এদিকে ঘটনার পর  গাড়ি-ঘোড়া চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তখন পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে থাকে। আহতদের হাসপাতালে নিতে পুলিশ সাহায্য করেনি, উল্টো বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নির্বিচারে লাঠিপেটা করে এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।

২১ আগস্ট দিনটির বিভৎসতার বর্ণনা দিয়ে আশরাফুল আলম খোকন বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আওয়ামী লীগের সমাবেশ কাভার করতে গিয়েছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন। মাইক্রোফোন হাতে ধরা ছিলাম আমি। হঠাৎ করেই একটা বিকট শব্দ। প্রথমটা আমাদের সামনে পড়েছে। পাবলিকের ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গেছি। মানুষ চিল্লাচিল্লি করতেছে, দৌঁড়াদৌড়ি করতেছে। আমি ট্রাকের নিচে চলে যাই। নিজেকে সেফ ভেবে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলাম।অফিসে কল দিলাম বললাম, ‘আওয়ামী লীগের জনসভায় বোমা পড়ছে।’ চিৎকার করে বলতেছি, ‘আপনারা স্ক্রল চালান।’ আমি ঠিক আছি কি-না অফিস জানতে চাইলো-তখন নিজের দিকে তাকালাম। দেখলাম পুরা প্যান্টের পা রক্তাক্ত, টি-শার্টের উপর দিয়ে পেটের ওখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

তখনো জ্ঞান ছিলো। রমনা ভবনের পাশ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলাম। হঠাৎ করে টিয়ারশেল এসে পড়ল আমার মুখের সামনে। আমি আবার ট্রাকের নিচে আসলাম। সেই সময় দেখলাম পায়ের নিচে কি একটা পড়ে আছে। তখন দেখলাম, জলপাই কালারের একটা গ্রেনেড। ভাবলাম, এটা যদি ব্লাস্ট হয় তাহলে সবশেষ। এদিকে পুরো পা অবশ হয়ে গেছে। যখন বের হচ্ছি তখন দেখেছি কি ভয়ংকর অবস্থা। কারো হাত পড়ে আছে, কারো পা পড়ে আছে। কেউ রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। মহিলারা কি অবস্থায় পড়ে আছে ওই দৃশ্য যারা না দেখছে তারা বিশ্বাস করতে পারবে না। কি ভয়ংকর দৃশ্য! মৃত্যুর আগ মুহূর্তটাকে যেন মনে হয়েছে।

আমি আইভি রহমানকে দেখলাম। উনি ট্রাকের নিচে মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুই সহকর্মী আমাকে দেখে টেনে ফুটপাতে নিয়ে শোয়াল। দেখি পুলিশ লাঠিপেটা করছে। একদিক তখনি অবাক লাগছে যে উদ্ধার তো দূরে থাক; উল্টা লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল। পরে আমাকে একটা ভ্যানগাড়িতে উঠাল কয়েকজন। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসল। একটা সময় আস্তে আস্তে যে শক্তিটুকু ছিল সেটাও কমে যাচ্ছে। আমার দুই সহকর্মী সন্তোষ দা ও শামীম খোঁজ করছিলেন। আমি যে ডাক দিব, কিন্তু মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। শামীম যখন আমাকে ক্রস করতেছে, তখন আমি হাত দিয়ে প্যান্টের দিকটা টেনে ধরলাম। তখন ওরা আমাকে দেখল।

এরপর আমাকে হলিফ্যামিলিতে নিলো। সেখানে ট্রিটমেন্ট শুরু হয়। সেদিন হাসাপাতালগুলোর রক্তাক্ত দৃশ্য যারা দেখেনি তারা বিশ্বাস করতে পারবে না যে কতটা ভয়ঙ্কর ছিল, কতটা নৃশংস ছিল-সেদিনটা।

গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর আহতদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। আহতদের আর্তচিৎকার আর স্বজনদের গগনবিদারী আর্তনাদে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, পিজি হাসপাতাল, মিটফোর্ড, পঙ্গু হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, শমরিতা হাসপাতালসহ প্রায় সব হাসপাতাল ভরে যায় গ্রেনেড হামলার আহত রোগীতে। গুরুতর আহতদের ভিড়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জায়গা না হওয়ায় আহতদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয় সংকটাপন্ন অনেককে। আহতদের ভিড়ে হাসপাতালের করিডরেও পা ফেলার জায়গা ছিল না।

যারা নিহত হন

২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে সবমিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। নারী নেত্রী আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে একই বছরের ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত অন্যরা হলেন শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব) মাহবুবুর রহমান, হাসিনা মমতাজ, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (সবার প্রিয় আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।

মামলা ও রায়

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন থানার এসআই শহীদ ফারুক আহমেদ। শুরু থেকেই তদন্তের গতি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৎকালীন সরকার।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে তদন্তের উদ্যোগ নেয়। এতে বেরিয়ে আসে, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহযোগিতায় গোপন জঙ্গি সংগঠন হুজি-বি জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালিয়েছিল। তদন্ত শেষে সিআইডির তখনকার এএসপি ফজলুল কবীর ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সিআইডি এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে এবং ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। তাতে তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

দীর্ঘসময় পেরিয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ মোট ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর