তীক্ষ্ণ চোখে শিকারের অপেক্ষায় কুঁড়ো বক

, ফিচার

ফটো স্টোরি, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 16:31:49

নদীমাতৃক বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ছয়শ পাখি দেখা পাওয়া যায়। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওরের দেশে যেসকল সুন্দর সুন্দর পাখির সন্ধান মেলে তার মধ্যে বক অন্যতম।

পানির মধ্যে এক পায়ে নিঃশব্দে নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ চোখে শিকারের অপেক্ষায় থাকে এরা। আমাদের দেশে নানা প্রজাতির বকের দেখা পাওয়া যায়।

এ দেশের বক পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য কুঁড়ো বক। অঞ্চল ভেদে এরা ছোট বক, খুদে বক বা সবুজ বক নামেও পরিচিত।

শিকারের সন্ধানে শাপলা পাতার ওপর হাঁটছে

কুঁড়ো বকের ঠোঁটের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত দৈর্ঘে ৪০-৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৯৩-২৩৫ গ্রাম।

শিকারের অপেক্ষায় কুঁড়ো বক

দেহের রং নীলচে-সবুজ। প্রাপ্তবয়স্ক কুঁড়ো বকের পিঠের পালক নীলচে-সবুজ, যার পাড় সাদা। মাথার চাঁদির চকচকে কালচে-সবুজ ঝুঁটিটি পেছনের দিকে ঝুলে থাকে।

মাথা ও ঘাড় ধূসর। গাল সাদা ও সুচালো ঠোঁট। একটি কালো রেখা ঠোঁটের গোড়া থেকে চোখের পেছনে চলে গেছে।

শিকার করছে কুঁড়ো বক

সাধারণত একা বিচরণ করে এরা। ভোর ও গোধূলি এবং মেঘলা দিনে বেশি সক্রিয় থাকে। অগভীর পানির সামান্য ওপরে গাছের আড়ালে চুপচাপ পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সুচালো ঠোঁটের আঘাতে শিকার করে। ছোট মাছ, চিংড়ি, ব্যাঙ, জলজ পোকামাকড় ইত্যাদি খায়।

শিকার করা মাছ মুখে কুঁড়ো বক

মার্চ-জুলাই প্রজননকাল। এ সময় পুরুষ কুঁড়ো বক ঝুঁটি খাড়া করে, ঘাড় ফুলিয়ে, লেজ দুলিয়ে স্ত্রী বককে ঘিরে দৌড়িয়ে তার প্রেম নিবেদন করে।

জলাশয়ের ধারে ছোট গাছ বা ঝোপঝাড়ে পানির ওপর ঝুলে থাকা ডালে কাটিকুটি দিয়ে মাচার মতো বাসা বানায়।

স্ত্রী কুঁড়ো বক ৩-৫টি ফ্যাকাশে সবুজাভ-নীল ডিম পাড়ে। ২১-২২ দিনে বাচ্চা ফোটায়। এরা দ্রুত বাড়ে। এক সপ্তাহে গাছের ডালে হাঁটাহাঁটি করে, দুই সপ্তাহে উড়তে শেখে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর