কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ রক্তদ্রোন গাছ এখনো টিকে আছে। তবে, ভেষজগুণ সমৃদ্ধ এই গাছটি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছের ফুলও মুগ্ধতা ছড়ায়। লাল রংয়ের এই ফুল আকর্ষণ ছড়ায়।
কটিয়াদী উপজলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা, ঝোপঝাড় ও কবরস্থানে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছের ফুলের রস মধুর মতো মিষ্টি। ছোট ছেলে মেয়েরা ফুল তুলে মিষ্টি রস খায়। অনেক এলাকায় এটি শাক হিসেবে খাওয়া হয়। একেক স্থানে একেক নামে পরিচিত। দণ্ডকলস, দল কলস, দোর কলস, কান শিশা, কাউন শিশা, ইত্যাদি নামে পরিচিত।
প্রকৃতির কোলে আপনাআপনি বেড়ে ওঠা গাছের নাম রক্তদ্রোন। অবহেলা অনাদরে বেড়ে উঠা এই গাছটি মনুষ্য সমাজে অবদান অনেকখানি। এটিকে না বুঝে জ্বালানি আগাছা হিসেবে অনেকেই কেটে ফেলে শেষ করে দিচ্ছে। গাছটি লম্বা হয় ১-২ ফুট। পাতা চিকন রোমশ ধরনের। ফুলগুলো ছোট ছোট লাল রংয়ের হয়।
শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা দেশীয় বনজ গাছটিকে চিনে না। এর গুণাগুণ সম্পর্কেও জানে না। মানুষের অনেক রোগ নিরাময়ের জন্য এই গাছটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শিক্ষকদের উচিত গাছটিকে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পরিচিত করে তোলা। এর সংরক্ষণ করাও জরুরি।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকশেদুল হক জানান, রক্তদ্রোন গাছটি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অযত্নে অবহেলায় এই গাছটি বেড়ে উঠে। মূল্যবান ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছটি আমাদের স্বার্থেই টিকিয়ে রাখতে হবে।