কৃষকদের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ

, ফিচার

ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ | 2023-09-01 16:29:57

কিশোরগঞ্জের বিশাল হাওর অঞ্চলসহ সবকটি উপজেলায় নবান্ন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। স্বপ্ন ও সাধনার আমন ধান উঠছে কৃষকের ঘরে।

আবহমান গ্রাম বাংলায় নবান্ন বাঙ্গালির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কটিয়াদী উপজেলার হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা পালন করছেন ঐতিহ্যের নবান্ন উৎসব।

এবছর আমন ধানের ফলন ভালো হওয়াতে কৃষকদের ঘরে খুশির আমেজ। প্রতিটি গ্রামে ফিরে এসেছে নবান্ন উৎসবের আমেজ।

barta24

কৃষকদের বাড়িতে চলছে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি। মেয়ের জামাই ও আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে এ উপলক্ষে। নতুন চালের পিঠা, পায়েস দিয়ে ধুমধামে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বধুরা অপেক্ষা করেন বাপের বাড়িতে নাইওরে (বেড়াতে) যাওয়ার জন্য। পিঠা পায়েস আর নতুন চালের ভাতের সুগন্ধে ভরে উঠে মন।

এছাড়াও গ্রামের সকল বাড়ি থেকে চাউল তোলা হয়। পরে সেই চাউলের গুড়া দিয়ে তৈরি করা হয় বিশালকার থামা পিঠা। ৩০-৪০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এই পিঠা। শীতের রাতে কৃষকের উঠানে সবাই একসাথে বসে চলে পিঠা খাবার ধুম।

অধিকাংশ ফসল তোলা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। বাকি ফসল ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষাণীরা কোমর বেঁধে কাজ করছেন। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউ তা বাড়িতে নিয়ে রাখছেন।

বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান এক হাজার এক শত টাকা দরে কেনা-বেচা চলছে। নতুন ধানে ভরপুর হাটবাজারে।

সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা জমিতে ধান কাটছেন ভোর থেকেই। বাড়ির সবাই মিল ধান কাটা ও মাড়াই (ধান তোলার কাজ) ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে। কোন কোন কৃষকের বাড়ির উঠানে ধান মাড়াই হচ্ছে।

জালালপুর ইউনিয়নের বীরনোয়াকান্দী গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা নবান্ন উৎসব করার চেষ্টা করি। কখনো ফলন ভালো হলে করি, আবার কখনো ফলন ভালো না হলে আনন্দ থাকেনা। এবছর ফলন ভালো হয়েছে বিধায় নবান্নের আনন্দ আছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর