ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড করে প্রাণীরাও!

, ফিচার

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩ | 2023-08-25 23:48:17

ওপার বাংলার বিখ্যাত গায়ক কবীর সুমন যতই চুমুর দিব্যি দিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড করতে বলুন না কেন আদেপে প্রাণীকূল এসব আবেগের ধারও ধারে না। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এই শিরোনাম কেন? আসলে জন্তুজানোয়াররা মাঝেমধ্যে চুমু খাচ্ছে বলে মনে হলেও,মানুষের মতো আবেগীয় ব্যাপার-স্যাপার তাতে নেই। সেটা নিছকই দেহভঙ্গি মাত্র– ওদের জীবনসংগ্রামও হয়তো আমাদের চেয়ে কিছুটা শক্ত৷ যেমন ধরা যাক বাঘের কথা।বাঘ একা থাকতে ভালোবাসে, কিন্তু সিংহ কিংবা চিতাবাঘ? বাঘের মাসি বেড়ালের ‘ভাগ্নে’ সাধারণত একাই থাকে৷ অপরদিকে সিংহ বা চিতারা ঠিক দঙ্গলে না থাকলেও, একা থাকে না৷ বিশেষ করে চিতাবাঘেরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে, গালে গাল ঘষে, একে অপরের মুখ চেটে তাদের খুশি দেখায়৷ একে চুম্বন বললে দোষ কী? হাতির চুমু!না, হাতি চুমু খেতে গেলে দাঁত, শুঁড় ইত্যাদিতে জড়িয়ে, গুঁতো লেগে এক কেলেংকারি ব্যাপার হবে৷ কাজেই যদি কোথাও দুটো হাতিকে শুঁড় জড়িয়ে কাছাকাছি থাকতে দেখেন, সেটা দুই দাঁতালের রেষারেষি বা হাতাহাতি৷ মার্কিন মুলুকের ‘মার্মট’ প্রাণীটি দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো৷ মার্মটরা এভাবেই পরস্পরকে স্বাগত জানানোর সময় অনেকটা খাড়া হয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যায়, নাকে নাক ঘষাও অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ মাছেরা চুমু খায়? না ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে মাছেরা চুমু খায় না মোটেও। তাহলে কি করে? কি আবার ঝগড়া। অথচ দেখলে চুমু ছাড়া আর কিছু ভাবার উপায় নেই৷ জীবজগতের অধিকাংশ জীব নাকে নাক ঠেকিয়ে বা ঘষে আলাপ-পরিচয় করে ও সাদর সম্ভাষণ বা প্রেম-পীরিতি ইত্যাদি জানায়৷ সিলমাছেরাও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ওটাকে চুম্বন বললে ভুল করা হবে৷ পাখিরা যে চুমু খেতে পারে না, তার কারণ তাদের শক্ত ঠোঁট। ঠোঁট সুচালো হলে আবার খোঁচা লাগার বিপদ আছে৷ তবে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে আদর বা ভালোবাসা জানাতে কোনো অসুবিধে নেই৷ আমরা এটাকে ঠুঁটো চুমু বলতে পারি৷ তোতারা একদিকে খুঁতখুঁতে; জীবনসঙ্গিনী বা জীবনসঙ্গী বাছতে তারা অনেক সময় নেয়৷ অন্যদিকে আবার তারা বাকি জীবনটা একসঙ্গে থাকে। তোতাদের সমাজে ডিভোর্স নেই কিনা৷ আবার বিয়েই শুধু নয়, তাদের প্রেমও যেন সারাজীবন টিকে থাকে৷ একে কি টেকসই দাম্পত্য বলবেন? সে যাই বলুন না কেন শক্ত ঠোঁট দিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে ভাব বিনিময় তারা ঠিকই করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর