স্বপ্নের নাম হযরত সাগড়া শাহ্ (র) সমন্বিত কৃষি খামার

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক সাধক ব্যক্তিত্ব হযরত সাগড়া শাহ্ (র) বংশধরগণ আধুনিক ও নব কৃষি আন্দোলনের সূচনা করেছেন। উৎপাদনের ক্ষেত্রে এনেছেন নবজোয়ার। মানুষের মুখে মুখে এক   স্বপ্নের নাম হযরত সাগড়া শাহ্ (র) সমন্বিত কৃষি খামার।

বাংলাদেশকে খাদ্য ও ফলদ স্বয়ংসম্পূর্ণ করার সরকারী উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে প্রায় ৩ একর জমি নিয়ে শুরু করা খামারের ১.৫ একর জমির ফলদ বৃক্ষের বাগানে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশি বিদেশি ফলদ বৃক্ষে ফলদ ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ সদরের ঐতিহ্যবাহী অষ্টবর্গ গ্রামে অবৈতনিক আনসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আশ্রয় শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজ সংস্কারক শাহ্ মাহতাব আলী’র ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর বাড়ি সংলগ্ন জমিতে সমাজ ও সামাজিক অর্থনীতির উন্নয়নে তার পুত্রবধু অধ্যাপক লাইজু আক্তার এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি’র ভ্রাতুষ্পুত্র কিশোরগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি তারেক কামালের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা এবং কিশোরগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার, গাইঠালের তত্বাবধানে ব্যাক্তি মালিকানাধীন কিশোরগঞ্জ জেলার এ বৃহৎ কৃষি খামারটি গড়ে উঠেছে, যার অন্যতম নেপথ্য নায়ক শাহ্ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট শাহ ইসকান্দার আলী স্বপন।

খামারটিতে আম, আপেল, মাল্টা, কমলা, লিচু, রামবুটাম, ড্রাগন, অ্যবাকোডা, মীরাক্কেল, কুল, ভিয়েতনাম কাঁঠাল, মালয়েশিয়ান কাঁঠাল, সাদা জাম, মিশরীয় ডুমুর, মিষ্টি তেতুল, মিষ্টি করমচা, জলপাই, লেবু, পেয়ারা, জামরুল, পেঁপে, বেল, শরীফা সহ বহু দেশি ও বিদেশি দুর্লভ ফলদ বৃক্ষ ও সবজি চাষ হচ্ছে।

হযরত সাগড়া শাহ্ (র) সমন্বিত কৃষি খামার ইতিমধ্যেই অষ্টবর্গ সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মানুষের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে। দুর-দুরান্ত থেকে উৎসাহী মানুষ খামারটি দেখতে আসছেন। গ্রামীণ মানুষকে বাড়ির পাশে অনাবাদি জমিতে ফলদ ও সবজি চাষে উৎসাহিত করে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে হযরত সাগড়া শাহ্ (র) সমন্বিত কৃষি খামার।

খামারের উদ্যোক্তা তারেক কামাল ও অধ্যাপক লাইজু আক্তার জানান বছরান্তেই তারা খামারটিতে উৎপাদিত উন্নত প্রজাতির বিদেশি ফলদ বৃক্ষের চারা প্রতিবেশি সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আগ্রহী খামারীদের নিকট বিতরণ শুরু করতে সক্ষম হবেন। তাতে নতুন খামারিরা নিজেদের বাড়ির উঠোনে অনাবাদি জমিতে এসব উন্নত জাতের দেশি-বিদেশি ফলদ বৃক্ষের চারা রোপন করে লাভবান হতে পারবেন।