সুর, তাল, লয় সব কিছু ঠিকঠাক রেখে কণ্ঠের ধ্বনি ছাড়াই দোতারায় গানের শব্দে সুর তোলে হায়দার আলী।
২০ বছর ধরে দোতরা বাজিয়ে আবার কখনো রবীন্দ্রসঙ্গীতের গান গেয়েই চলছে তার জীবন সংগ্রাম।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়ির পুকুরপাড়ের বকুলতলায় বসে এই দোতারা বাজান তিনি। আবার কখনো কখনো সেখানকার অন্ধ বাউল আতিয়ার রহমান ও তার দলের সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীতও গেয়ে থাকেন তিনি। আর সেখান থেকে প্রাপ্ত বখশিসে চলে তার সংসার।
স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে সংসার হায়দার আলীর। এভাবেই দোতরা বাজিয়ে আবার তান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে তার ভালো লাগে বলে জানান তিনি।
তাদের দলবদ্ধভাবে গাওয়া গান শুনেই দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া বখশিসেই চলে তাদের সংসার। তবে ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা এলে কেউ দুই-পাঁচশো টাকা দিলে তাদের সেদিনটা খুবই ভালো কাটে।
বকুলতলার অন্ধ শিল্পী আতিয়ার রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ছেলে ওলিদুল ইসলাম শিষ্যত্ব লাভ করে দরাজ গলায় গেয়ে শোনান রবীন্দ্র সঙ্গীত। তার সাথেই দোতারা বাজিয়ে সুর তোলেন হায়দার আলী।
বাউল ওলিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সাথে আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত অন্যরকম এক অনুভূতির জাগায়। হায়দার আলী দোতারায় বেশ ভালো সুর তুলতে পারে। অনেক সময় বাউল গানের আসরেও আমরা দুজনে অংশ নিয়ে থাকি বলেও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা তনিমা আক্তার এসেছিলেন কুঠিবাড়ীতে বেড়াতে। পুকুর পাড়ে হায়দার আলীর দোতারার সুরে আমরা মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনেছি। সত্যি দারুণ বাজাতে পারে সে। সাথে কয়েকটা রবীন্দ্রসঙ্গীতও শুনে ধন্য হলাম আমরা।