সত্যিকারের মৎস্যকন্যা ভেসে উঠল পাপুয়া নিউগিনিতে!

, ফিচার

ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-10-22 17:05:31

মারমেইড বা মৎস্যকন্যার কথা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু তা কেবল গল্পে আর কল্পনায়। এবার সত্যিকারের মৎস্যকন্যার দেখা মিলল পাপুয়া নিউ গিনির এক সমুদ্র সৈকতে। মারমেইডের মতো দেখতে অদ্ভুত, ফ্যাকাশে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত একটি প্রাণী গত ২০ সেপ্টেম্বর পাপুয়া নিউ গিনির বিসমার্ক সাগরের সিমবেরি দ্বীপে ভেসে উঠেছে। যদিও এটি পুরোপুরিভাবে শনাক্ত করা যায়নি তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এটি একটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী। প্রতিবেদন- এনডি টিভি।  

এদিকে মারমেইডের মতো আকৃতির ভৌতিক সাদা মাংসের পিণ্ডের ছবি নিউ আয়ারল্যান্ডার্স অনলি নামে একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে।

লাইভ সায়েন্সের মতে এটি একটি গ্লোবস্টার । একটি অজ্ঞাত জৈব ভর যা উপকূলে ধুয়ে যায়। এই রহস্যময় প্রাণীটির উৎস চিহ্নিত করা কঠিন কারণ মৃতদেহের বেশিরভাগ অংশই পঁচে গেছে এবং বাকি অংশগুলো সমুদ্রের পানিতে ধুয়ে গেছে। যার ফলে প্রাণীটির মাথা এবং এর মাংসের বড় অংশ অনুপস্থিত। এনআইও প্রতিনিধিরা লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, স্থানীয়রা দাফন করার আগে মৃতদেহটির আকার এবং ওজন সম্পর্কে কোনও তথ্য সংরক্ষণ করেননি। এমনকি এটার সঠিকভাবে পরিমাপও করা হয়নি। কোনো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। যার কারণে প্রাণীটির সঠিক শনাক্তকরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞানী হেলেন মার্শ লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, এটা দেখতে একটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো।

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞ সাশা হুকার এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।  তিনি বলেছেন, এটা আমার কাছে খুব পচনশীল সিটাসিয়ানের মতো দেখাচ্ছে। তিমি এবং ডলফিন যখন তাদের ত্বক পড়ে যায় তখন এই রঙটি পরিবর্তন করে যা উনার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর