লাল নীল সবুজ সাদা বেগুনী হরেক রঙের ঘুড়ি। দখিনা বাতাসের টানে রঙিন গুড়িগুলো আকাশে উড়ে বেড়ায়। আবার সাপের মত হেলে-দুলে আকাশপানেই নাচে। এসব ঘুড়ি কিনতে পাওয়া যায় বাজারের ভ্যারাইটিজ স্টোর কিংবা স্পোর্টসের দোকানগুলোতে। কিন্তু এবার হরেক রঙের ঘুড়ি দেখা গেছে একটি লন্ড্রি দোকানে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পুরাতন গোহাটা রোডে বিসমিল্লায়াহ লন্ড্রি এন্ড ড্রাইওয়াশ নামে একটি দোকানে এসব ঘুড়ি ঝুলতে দেখা যায়।
শীত শেষ হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে বসন্ত। মৌসুমও শুষ্ক। মাঠ-ঘাটে পানি নেই। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা কানামাছি, ক্রিকেট-ফুটবলসহ নানারকম খেলায় মেতে উঠছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন বয়সীদের দেখা যায় ঘুড়ি উড়াতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুড়ি উড়ানোতে ব্যস্ত থাকে তারা। এসব ঘুড়ি কেউ নিজে বানায় আবার কেউ দোকান থেকে বিভিন্ন দামে কিনে নেয়।
জানা গেছে, ১০-১২ দিন হয়েছে ওই লন্ড্রি দোকানে হরেক রঙের ঘুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। একটি ঘুড়ি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদাও ভালো। গাছ-গাছালির সঙ্গে লেগে অনেক বেশির ভাগ ঘুড়িই কেটে যায়৷ এছাড়া যারা ঘুড়ি উড়ায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। যার কারণে বেশিরভাগ সময় একদিনের বেশি ঘুড়ি ভালো থাকে না। এতে প্রতিদিনই নতুন ঘুড়ি কিনে নিয়ে যায় বিভিন্ন বয়সীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগেও গ্রামের বিভিন্ন বাজারে ঘুড়ি বিক্রি করতে দেখা গেছে৷ বর্তমানে এখন তা খুবই কম দেখা যাচ্ছে। পলিথিন দিয়ে বানাতে পারলেও রঙিন ঘুড়িতে সবার মন টানে। আর রঙিন ঘুড়ি কিনতে যেতে হয় বিভিন্ন এলাকার বড় বাজারগুলোতে। সেখানেও না পাওয়া গেলে জেলা শহর থেকে কিনতে দেখা যায়। লক্ষ্মীপুর শহরের গেঞ্জিহাটা থেকে লাল নীল সবুজ সাদা বেগুনী হরেক রঙের ঘুড়ি কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা।
জানতে চাইলে ওই লন্ড্রি দোকানে কর্মরত বাশার আহমেদ জানান, আশপাশে কোথাও ঘুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে এখানে ঘুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদাও বেশি। প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ টি ঘুড়ি বিক্রি করা যায়।
লন্ড্রি দোকানের সত্ত্বাধিকারী মো. কিরণ জানান, বাশার ভাই হঠাৎ করে ঘুড়ি বিক্রি শুরু করেছে। দেখি ভালোই চলছে। তবে এটি উনার নিজের উদ্যোগ।