‘পথের ধারে অবহেলায় মুখটি করে ভার, ফুটেছিল নাম না জানা বুনো ফুলের ঝার।’ সুখেন্দ্র বিশ্বাসের কবিতার এই কথার মতই প্রকৃতিতে আজ বুনো ফুলের মেলা। তবে মুখটি ভার করে নয় মিষ্টি হেঁসে পথচারীদের মনে করিয়ে দিচ্ছে আজ বসন্ত। প্রকৃতিপ্রেমীরা আজ পথের ধারের বুনোফুলের সমারোহে মুগ্ধ। মনের বসন্তে ভালবাসা উঁকি দেওয়া অনেকেই খুঁজে ফিরেছেন এসব ফুলের পরিচয়।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের আলমপুর গ্রাম পার হলেই মনে হয় দু’পাশে যেন বুনো ফুলের হাট বসেছে। অযন্তে অবহেলায় বেড়ে উঠা জংলী এসব ফুলের দিকে কেউ তেমন নজর দেয়না ঠিকই কিন্তু আজ বসন্ত বলে কথা। তাইতো প্রকৃতিপ্রেমীদের নজরে আসছে রঙ-বেরঙয়ের বুনোফুলের মুগ্ধ করা দৃশ্য। এমনটি বললেন মেহেরপুর শহরের কম্পিউটর মেট এর স্বত্বাধিকারী জুয়েল।
শুধু বুনোফুল নয় প্রকৃতি যেন আজ সেজেছে অপরূপ সাজে। নার্সারি কিংবা বসতবাড়ির টবে নয় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল ও মুকুলের সমারোহ। সজিনা ও আমের মুকুল শোভাসিত মুগ্ধতা ছড়িয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের আকৃষ্ট করছে। ফুলে ফুলে মৌমাছিরা যেন আপন মনে রস আহরণে ব্যস্ত। পাখিরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে উঁকি দিয়ে মনের আনন্দে ফুলের রস পান করে পার করছে তাদের সময়।
প্রকৃতিকে আরো রাঙিয়ে তুলেছে শিমুল ও কৃষ্ণচুড়া। গাছে গাছে কচি পত্র-পল্লব যেন প্রকৃতিটাকে যেন প্রাণ ফিরিয়ে দিচ্ছে। শীতের জড়তা কাটিয়ে নতুন পাতায় ভরে উঠেছে বৃক্ষরাজি। প্রকৃতি ও মানুষের হৃদয়ে বসন্দের শিহরণ। বাসা বাড়ির সামনে বিলাশ বাগানের টুকটুকে পাতার রং দেখলে মনে হয় সবই যেন ফুল। বসন্তের এই দিনের মধ্য দিয়েই যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভালবাসা দিবস সমাগত।
এদিকে বসন্তের শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই আবহাওয়ায় এসেছে অনেকটা পরিবর্তন। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে তবে সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু শীত। ভোরে শীত ও উঞ্চ গরমের মধ্য দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে বসন্তের আমেজ।