শত শত শিশু লাইন ধরে বসে আছে। সবার দৃষ্টি টাকার বস্তার দিকে ৷ বস্তার পর বস্তা টাকা এনে ঢালা হচ্ছে তাদের সামনে। টাকার স্তুপ জমেছে সবার সামনে। টাকায় হাত স্পর্শ করতেই সবার মুখে যেনো আনন্দের হাসি। এমন দৃশ্য দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় তিন মাস ১৪ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও ১টি ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। এতে ২৯ বস্তা টাকা মিলেছে। টাকা গণনার কাজে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের সাথেই মাদরাসা। টাকা গণনার কাজে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। বড়দের সাথে শতাধিক শিশুরাও গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। আনন্দ নিয়ে হাসিমুখে সবাই টাকা গণনার কাজ করে যাচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিরতি দিয়ে রাত পর্যন্ত চলবে এই কাজ।
মাদরাসার শিক্ষার্থী লাবিব (৬), হাবিব (৮) ও কাউসার (১০) জানায়, একসাথে এতগুলো টাকা দেখে ভালো লাগছে। একবার গণনার কাজ শেষ হলে তারা অপেক্ষায় থাকে, কখন আবার দান সিন্দুক খোলা হবে। কারণ এটি তাদের আনন্দ দেয়।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মসজিদের টাকা গণনার জন্য জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে তারাও সহযোগিতা করে। কাজগুলো সবাই আনন্দের সাথেই করে।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, ৩ মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে।
এর আগে, সর্বশেষ ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।