বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা দেশকে। সবাই যেন শোকে কাতর। এমন মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে।
আগুন নিভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চকবাজারের চুড়িহাট্টার দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭০ জন। আহত অর্ধশতাধিক।
আগুন নিভে যাওয়ার পর পুরো এলাকা যেন ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদ এলাকা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে অনেকে। তাদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চকবাজার থেকে নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসার পর হাজারো স্বজনের ভিড়।
অপেক্ষার পর সনাক্ত শেষে মর্গ থেকে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বজনদের কাছে।
পিতা কাওসারকে হারিয়ে এতিম হলো যময দুই সন্তান, মেয়ে মেহজাবিন আক্তার সারা ও ছেলে মো. আব্দুল্লাহ্।
অনেকেই স্বজনের মরদেহ শনাক্ত করতে না পারায় কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ এলাকা।
ঢামেক হাসপাতালের মর্গ থেকে পোড়া লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গণ।
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় চার পাশে চেয়ে থাকা চোখগুলো শুধুই সাক্ষী হয়ে রয়ে যায় চিরদিন।
মর্গের সামনে কফিন নিয়ে লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা।
সনাক্ত হওয়া স্বজনদের লাশ বুঝে পাওয়ার পর সৎকারের উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে অনেকেই।