কায়িক পরিশ্রমে পুরুষের মতই মানিয়ে নিচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছেন।
এনজিওতে চাকুরি করা লাকি আক্তার সড়কে পুরুষদের পাশাপাশি নিজেই স্কুটি ড্রাইভ করে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। চলাচলে কোনো সমস্যা হয় কি-না জানতে চাইলে, বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, মানুষ বিষয়টি যেভাবেই দেখুক না কেন, তার জন্য তো আর থেমে থাকা যায় না। নারীরা এখন খেলাধুলা থেকে শুরু করে পাহার পর্যন্ত জয় করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি স্তরেই নারীরা অগ্রসর হতে পেরেছে। এর জন্য আমি আমার মত করেই চলাফেরা করে থাকি।
পুরুষদের সাথে সমানতালে কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক অসহায় নারী। পুরুষের চেয়ে নারীদের শারীরিক সক্ষমতা কম হলেও কাজের ক্ষেত্রে তার তেমন প্রভাব পড়ে না।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যাপক ইসমাত রুমিনার সাথে কথা হয় বার্তা২৪.কমের। নারী দিবস নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারিসহ তৃণমূল পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে এখন নারীর উপস্থিতি দৃশ্যমান। কর্মক্ষেত্রে নারীরা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীরা অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনসহ উৎপাদন খাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন নারীরা। নারীরা সব স্তরেই খুব ভালো করছেন আর এর পেছনে সরকারের অবদানও রয়েছে।
নারীরা যে শুধু গৃহস্থলির কাজে বা সংসার গোছাতে অবদান রাখছেন, তা নয়। বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরে সফলতার সাথে কাজ করছেন তারা।
সুমাইয়া তার ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে দোকানের ভেতর খেলায় মগ্ন। আর তার মা হেলেনা বেগম পাশেই দাড়িঁয়ে চা বানাতে ব্যস্ত। সামনে গিয়ে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, সব সময় কি দোকানদারী আপনিই করেন? আর দোকানদারী করতে গিয়ে কোনো বাঁধার সম্মুখিন হন কি-না?
জবাবে হেলেনা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘না, দোকান করে আমার স্বামী সুরুজ মিয়া। আমি দোকানে আসলে হ্যায় বাসায় গিয়া গোসল ও খাওয়া দাওয়া সাইরা দোকানে আসলে তারপর আমি পোলাপাইন নিয়া বাসায় যাই। আর খারাপ হইলো, অনেক মানুষ এইডারে ভালো কয় না। কেমনে কেমনে জানি তাকায়! কিন্তু তারে সাহায্য করতে পাইরা আমার ভালো লাগে।’