আয়রন ঘাটতি পূরণ করে চালতা

চালতা আমাদের দেশে সুপরিচিত ফল। বাংলাদেশে ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ডে এটি উৎপন্ন হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এই ফলটি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে এই ফল গাছের পাতা এবং বাকল চিকিৎসার জন্য বেশি কাজে লাগে। স্বাদে টক হওয়ায় এই ফলটি খুব কমই খাওয়া হয়। থেতলে, বেটে নিয়ে, ডাল দিয়ে কিংবা আচার করা গেলে এই ফলটি খেতে ভালো লাগে। ইংরেজিতে চালতাকে এলিফ্যান্ট আপেল বলা হয়। এর কারণও অবশ্য আছে। হাতিরা এই ফল খেতে খুব পছন্দ করে। কোনো কোনো দেশে হাতিরা যেসব এলাকায় থাকে সেখানে এই ফল গাছ থেকে পাড়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ। স্বাদে যতই টক হোক না কেন চালতার উপকারের শেষ নেই। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে চালতায়। এ কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। চালতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে দারুণ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা জানান, অনেক কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। তবে তা পূরণ করতে সাহায্য করে ভিটামিন এ সম্বলিত খাবার। তাই চোখের সুরক্ষায় চালতা খেতে পারেন। ত্বক টানটান কিংবা বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে ভিটামিন সি খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে চালতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ চালতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চালতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-ও থাকে। দুর্বলতা দূর করতে এবং শরীরের শক্তি জোগাতে এটি দারুণ উপকারী। এটি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর শক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে চালতা। এটি আয়রনেরও ভালো উৎস। যারা আয়রনের অভাবে রক্তশূণ্যতায় ভূগছেন তাদের জন্য এই ফলটি দারুণ উপকারী।