রাত ৮টা থেকেই রাজধানীতে প্রবেশ করতে শুরু করে দূরপাল্লার বাসগুলো। সায়েদাবাদ, গাবতলী আর মহাখালী বাদেও পুরো শহরই হয়ে উঠে টার্মিনাল। আর যানজটে আটকে যায় শহর।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টায় রাজধানীর আরামবাগ। এখান থেকে ছেড়ে যায় মূলত দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গের বাসগুলো। দূরপাল্লার বাসগুলোর কাউন্টার রয়েছে এখানে। সোহাগ পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সিল্কলাইন, রয়েল কোচ, লন্ডন পরিবহন, সৌদিয়া, গ্রীন লাইনসহ প্রায় সব বাসেরই কাউন্টার রয়েছে এখানে।
শুধু আরামবাগ নয়, ফকিরাপুল থেকে শুরু করে মালিবাগ, কমলাপুর, মতিঝিল, টিটি পাড়া হয়ে উঠে বাস টার্মিনাল। তবে এই অঞ্চলের সত্যিকারের বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদের ভেতরের কাউন্টারগুলো কিন্তু কার্যত অচল থাকে। কারণ টার্মিনাল ঘিরে বিজয়নগর, যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, মানিক নগরের সড়কেই মূলত দূরপাল্লার বাসগুলোর কাউন্টার এবং যাত্রী উঠানামাও সড়কেই হয়।
ঢাকার কলাবাগান ও পান্থপথেও রয়েছে প্রায় সবগুলো দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার। সেখান থেকে উত্তর বঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ, পূর্ব-পশ্চিম সব অঞ্চলেই যাওয়া আসা করে বাসগুলো। সন্ধ্যা থেকেই সড়কে জট তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে দীর্ঘাকায় বাসগুলো। এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল থাকলেও উত্তরের বাসগুলোর কাউন্টার শুরু হয় কলাবাগান থেকে। শ্যামলী, কল্যাণপুরে তো দিন রাতই চলে দূর পাল্লার বাস।
বর্তমান ঢাকার একেবারে পেটের ভেতরে মহাখালী বাস টার্মিনাল। তবে দেশের এই পূর্বমুখী বাসগুলোর কাউন্টার এরপরেও মহাখালী, বনানী, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরে রয়েছে। আর এই পথ দিন রাত সবসময় ব্যবহার করে দূরপাল্লার বাসগুলো।
আরামবাগে কথা হয় বেসরকারি চাকুরিজীবী জয়নাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে সড়ক বন্ধ করে দূরপাল্লার বাসগুলো রাখা হয়। বাসগুলো সড়ক দখল করে রাখে। অথচ নগরীতে বাস টার্মিনালগুলো থেকে যাত্রী উঠানামা করানো হলে এই অস্থিরতা ও জট অনেকটাই কমে আসতো।’