দিনটি ছিল শুধুই আমাদের...

, ফিচার

সোহেল মিয়া, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-08-31 00:49:47

১৪ মে ফোনটি বেজে উঠতেই হাতে নিয়ে দেখি প্রাণের কর্মস্থল মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পোর্টাল বার্তা২৪কম-এর অফিসের নাম্বার। সাধারণত, অফিসের নাম্বার থেকে ফোন আসলেই বুকটা যেন অদৃশ্য কোন কারণে কেঁপে ওঠে। তাই ভয়ে ভয়েই ফোনটি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মানসুরা চামেলি আপুর কণ্ঠ ভেসে আসল।

তারপর জানালেন, ১৮ মে ঢাকা অফিসে সকাল ১০টার মধ্যে আসতে হবে। সম্মতি জানিয়ে ফোনটি রেখে দিলাম। গতানুগতিকভাবেই আমি ঢাকা আসার কথা শুনলে একটু বিরক্ত হয়। এদিনও হয়েছিলাম। কিন্তু অফিসের ফোন, তাই উপায়ন্তর না পেয়ে যথাসময়ে যথাস্থানে চলে আসি।

অফিসে এসে দেখি সারাদেশ থেকেই সকল সহকর্মীরা এখানে জড়ো হয়েছেন। তারপর দিনটি কীভাবে কাটল কিছুই বুঝতে পারলাম না। হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডার মধ্যে দিয়ে দিনটি কেটে গেল।

নিউজরুমে বসে আছি, এমন সময় হঠাৎ সেখানে প্রবেশ করলেন আমাদের সবার অভিভাবক, প্রাণের মানুষ, বাংলাদেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পথিকৃৎ আলমগীর হোসেন স্যার। একে একে সবার সাথে তিনি কুশলাদি বিনিময় করলেন।

তবে অবাক করা বিষয়, এত বড় মাপের একজন মানুষ কীভাবে এত সহজ সরলভাবে সবার সাথে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠছেন। স্যারের কথা শুনে মনে মনে ভাবছি, এতোটা সৎ, দক্ষ, সৃজনশীল আর মানবিক চরিত্রের মানুষ বলেই তিনি সফলতার শিখরে অবস্থান করছেন।

যাই হোক সারা দেশ থেকে আসা করেসপন্ডেন্টদের সাথে মতবিনিময় শেষে স্যার নিজে আমাদেরকে সাথে নিয়ে অফিসের সব কক্ষগুলো ঘুরে দেখাতে থাকেন আর বলতে থাকেন এ অফিস তোমাদের। সেই সাথে বার্তা২৪.কম-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার গল্প শোনাতে থাকেন। স্যারের গল্প শুনে মনে হলো আমরা ভিন্ন জগতে রয়েছি। স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। স্যারের কথায় উজ্জীবিত ও উৎসাহিত হচ্ছি।

সাংবাদিকতা আমার দেড় দশক কেটে গেছে। দেশের অনেক প্রভাবশালী ও নাম করা প্রিন্ট ও অনলাইনে কাজ করেছি। কিন্তু হলফ করে বলছি বার্তা২৪.কম ও এর স্বপ্নদ্রষ্টা আলমগীর স্যারের মতো এতো ভালো ও আন্তরিকতাপূর্ণ মানুষের সাথে আমার কাজ করার সৌভাগ্য কখনও হয়নি।

১৮ তারিখে অফিসে না আসলে আমরা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হতাম। তাই দিনটি ছিল শুধুই আমাদের। অফিসের প্রতিটি মানুষের আন্তরিকতা আমাদেরকে চরমভাবে নাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে অ্যাডমিন সুলতানা আপুর আতিথেয়তা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

আর যাদের নাম শুনলেই ভয় পাই- সেই চামেলি আপু, শিমুল আপু ও মিলিতা আপুর হাস্যোজ্জ্বল মুখটি সব সময় আমাদের ভালো লেগেছে। স্মরণে থাকবে তাদেরও আতিথেয়তার কথা। তাছাড়া মুন্না দা, আতিক ভাই, তানভীর ভাইয়ের অনেক পরামর্শ আমাদের কাজে লাগবে আগামীর পথচলায়।

অফিসের প্রতিটি মানুষই ছিল অনেক আন্তরিকতাপূর্ণ। যাদেরকে আমরা কখনও দেখিনি, এমনকি কখনও কথাও হয়নি সেই মানুষগুলোও যেন আমাদের নিয়ে মেতে উঠল ভালোবাসার উল্লাসে।

বার্তা পরিবারের প্রাণ পুরুষ আমাদের সবার অভিভাবক আলমগীর স্যারের সুদক্ষ নেতৃত্বে আমাদের জয়রথ চলবে....

এ সম্পর্কিত আরও খবর